অলিম্পিকে পদক জয়ের তালিকায় শীর্ষে থাকতে দেশগুলোর মধ্যে তীব্র লড়াই বিভিন্ন ইভেন্টে। স্টেডিয়ামের সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে প্যারিসের তীব্র গরম। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অন্যান্য কারণে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের তাপমাত্রা গেল কয়েকদিনে বেড়েছে ব্যাপকহারে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠায় অতিষ্ঠ হয়েছে জনজীবন। অলিম্পিক আসরে খেলতে যাওয়া অ্যাথলেটদের সঙ্গে আগত দর্শকদেরও বেহাল দশা।
ফ্রান্স শীতপ্রধান দেশ হওয়ায় সেখানে আলাদা করে প্রতিটি বাড়িতে নেই এয়ার কন্ডিশনার। এমনকি খুব বেশি সিলিং ফ্যানের ব্যবস্থাও নেই। এতে বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈদ্যুতিক পাখা কেনার দিকে ঝুঁকেছেন ফরাসিরা।
একজন দর্শক বলেন, 'যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে বেশি গরম। বাড়ির বাইরে বের হলে যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকতে হয়, রেস্তোরাঁয় সময় কাটাচ্ছি। পানির বোতল সবসময় সঙ্গে রাখছি। ঘরে টিকতে না পেরে ফ্যান কেনা জরুরি হয়ে গিয়েছে। তবে, এ সুযোগে বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছেন।'
অলিম্পিক উপলক্ষে প্যারিস শহর শীতল করতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জলাশয় উন্মুক্ত করা হয়েছে। নদীর তীর খুলে দেয়া হচ্ছে সবার জন্য। শহরের উত্তাপ নিয়ন্ত্রণে এক ধরনের কুলিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেমে মাটির নীচ থেকে পানির পাইপ শহরজুড়ে সাত শতাধিক ভবনের ওয়াটার টিউবের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ফ্রান্সের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতি আরও বেশ কয়েকদিন থাকার শঙ্কা আছে।
আবহাওয়া অফিসের একজন বলেন, 'এভাবে প্যারিসে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে আশা করিনি। ৩৭ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা হলে চলমান অলিম্পিক গেমসে ক্রীড়াবিদ এবং জনসাধারণের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়তে পারে। এটা উদ্বেগজনক।'
২০১৬ সালে পেশাদার টায়াথলিট জনি ব্রাউনলির হিট স্ট্রোক এবং ২০২০ সালে গরমজনিত অসুস্থতার খবর শিরোনাম হয়েছে বহুবার। তবে চলতি অলিম্পিকে তীব্র গরমের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো অ্যাথলেটের অসুস্থ হওয়ার খবর মিলেনি। কারণ তীব্র গরম থেকে সতর্ক থাকার চেষ্টা করছেন ক্রীড়াবিদরা।