অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

অলিম্পিকে অংশ নিতে ফ্রান্সে পৌঁছেছে ফিলিস্তিন-ইউক্রেন

প্যারিসের সিন নদীর তীরে যখন ২০২৪ অলিম্পিকের পর্দা উঠবে; তখন হয়তো যুদ্ধ বিমান উড়ছে ফিলিস্তিনের আকাশে। রুশ সেনাদের অভিযানে লণ্ডভণ্ড হচ্ছে ইউক্রেনের কোনো গ্রাম। তবে কথায় আছে, দ্য শো মাস্ট গো অন। 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'- খ্যাত এই আয়োজনে অংশ নিতে এরইমধ্যে ফ্রান্সে পৌঁছেছে ফিলিস্তিন ও ইউক্রনের খেলোয়াড় ও কলাকুশলীদের দল। কী চলছে তাদের মনে? কীভাবে লড়বেন শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই?

সাদা জার্সি আর ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে ২০২৪ অলিম্পিকে অংশ নিতে ফ্রান্সে পৌঁছেছে ফিলিস্তিনের খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দরে নেমেই ইসরাইলকে লাল কার্ড দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির প্রধান জিব্রাইল রাযৌব। তিনি বলেন, 'ফিফা ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির উচিত ইসরাইলকে বয়কট করা।'

প্রায় দুই মিলিয়ন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিকে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাঁতারু ভ্যালারি তারাজি। জানান, স্বর্ণ বা রৌপ্য পদক নয়, ফিলিস্তিনিদের লড়াইটা আরও বড় কিছুর জন্য।

তিনি বলেন, 'আমরা গাজাবাসীর সাথে আছি। আমার পরিবার ও বন্ধুরাও সেখানে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। শান্তিপূর্ণভাবে ফিলিস্তিনের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই।'

ফিলিস্তিনের দলকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয়রাও। এসময় ইসরাইল-হামাস সংঘাতের অবসানের দাবি জানান তারা। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউরোপের নানা দেশে ফিলিস্তিনের সমর্থনে প্রতীকী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অলিম্পিকের মতো এই আয়োজনকে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে তাদের। এসব মিলিয়ে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ফ্রান্স। আয়োজকদের সহায়তায় অন্তত এক ডজনের বেশি দেশ থেকে পুলিশ এসেছে প্যারিস অলিম্পিক গেমসে নিরাপত্তা দিতে।

এবারের আয়োজন অংশ নিতে আগেভাগেই অলিম্পিক ভিলেজে পৌঁছেছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেনীয় খেলোয়াড়দের অলিম্পিকে অংশগ্রহণকে একটি অর্জন হিসেবে দেখছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এই প্রথম মাত্র ১৪০ জনের একটি দলকে পাঠানো হয়েছে প্যারিস অলিম্পিকে।

খেলোয়াড়রা বলেন, ইউক্রনের সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। যখন তখন বোমা হামলা হচ্ছে। অধিকাংশ খেলোয়াড় তাদের পরিবারের সাথে দেখা করতে পারছে না। একটাই আশা, দেশের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করতে চাই। ইউক্রেনীয় সেনাদের ধন্যবাদ। তাদের জন্যই ভালোভাবে প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি নিতে পেরেছি।

গেল আসরে মহামারি এবার যুদ্ধ-টানা দুই আসর ধরে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারছে না অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি। নির্বিঘ্নে আয়োজন সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। দেশটির সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম ও লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে চান তারা। তবে, এত কিছুর ভিড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন ও ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়দের দিকে তাকিয়ে আছে সে দেশের জনগণ।