অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

প্যারিসের অ্যাকুয়াটিক সেন্টারে ১৫১ মিলিয়ন ইউরো খরচ

১২০ দিনের অপেক্ষা, এরপরই নজরকাড়া সব পারফরম্যান্সে বুদ হওয়ার পালা ক্রীড়াপ্রেমীদের। এজন্য প্রস্তুতিও কম নিচ্ছে না একশো বছর পর আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া ফ্রান্সের শহর প্যারিস।

জিমন্যাস্টিকস, সাঁতার, ফুটবল, ভারোত্তোলন, শ্যুটিংসহ ৩২টি ইভেন্টের জন্য প্রস্তুত ৩৫টি আলাদা আলাদা স্টেডিয়াম। গেমসের জন্য স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে বানানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ভেন্যু। এর মধ্যে একমাত্র গেমসের জন্য স্থায়ীভাবে প্রস্তুত হয়েছে অ্যাকুয়াটিক সেন্টার।

প্যারিসের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর সেন্ট ডেনিস। যেখানে সাঁতার ইভেন্টের জন্য স্থায়ীভাবে ব্যবহারে তৈরি হয়েছে সেন্টারটি। সাঁতার ড্রাইভের মতো মনোমুগ্ধকর সব পারফরম্যান্স সেখানে বসে দেখতে পারবেন পাঁচ হাজার দর্শক।

পাঁচ হাজার স্কয়ার মিটার বিস্তৃত জায়গায় চার হাজারের বেশি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। যার সাহায্যে সুইমিংপুলের পানি ২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত সহজেই গরম করা সম্ভব। এছাড়া ভেন্যুটিকে পরিবেশবান্ধব করতে ছাদের পুরোটাই কাঠ দ্বারা তৈরি হয়েছে।

প্যারিস অলিম্পিকের বাজেটের মধ্যে অ্যাকুয়াটিক সেন্টারকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্থাপনা ধরা হয়। এর জন্য খরচ হয়েছে ১৫১ মিলিয়ন ইউরো। গেমসের পর সাঁতারুরা নিজেদের প্রস্তুত করতে এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, ‘বিশ্বকে চমকে দেয়ার জন্য যেভাবে ভেবেছিলাম, গেমসের জন্য ঠিক সেভাবেই ভেন্যু হয়েছে। ডিজাইনার ছাড়াও এর সঙ্গে জড়িত সবার প্রশংসা করতে হবে। গেমসের লক্ষ্য পূরণ একইসঙ্গে মানুষের জীবন পরিবর্তনে কাজে আসবে ভেন্যুটি।’

পরীক্ষার জন্য ডিসেম্বরের মাঝখানে প্রথম পানি দিয়ে পরীক্ষা করা হয় ভেন্যুটি। তবে দফায় দফায় পরীক্ষার পর ফেব্রুয়ারিতে সফল হওয়া ভেন্যুটিতে শুরু থেকে নিজেদের প্রস্তুতি সারতে পারবেন সাঁতারুরা।