দীর্ঘদিন পর হকি টার্ফে স্টিক নিয়ে প্রাণোচ্ছল খেলোয়াড়রা। প্রায় আড়াই বছর পর প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে ম্যাচের নিয়ন্ত্রক আম্পায়ারদেরও বাঁশি নিয়ে ব্যস্ততা। লিগের খেলা পরিচালনায় দেশি আম্পায়ারদের আধিপত্য বেশি। তবে আর্থিক বরাদ্দে এগিয়ে আছে বিদেশি আম্পায়ররাই।
লিগে মোট ১৪ আম্পায়ারের মধ্যে ১২ জনই দেশি। শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়া থেকে দুই আম্পায়ারকে উড়িয়ে আনা হয়েছে লিগে ম্যাচ পরিচালনায়। তবে ম্যাচ প্রতি অর্থের দিকে খরচের পাল্লাটা ভারী বিদেশি আম্পায়ারদেরই।
লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্না বলেন, 'স্থানীয় আম্পায়ারদের প্রতি অনেক ক্লাবেরই আস্থা কম। তাই আমরা বিদেশি আম্পায়ার আনছি। এছাড়া বিগ ম্যাচে সব সময়ই ফরেন আম্পায়ার থাকে। ক্লাবগুলোর কথা তো আমাদের বিবেচনা করতে হয়।'
খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ক্লাবগুলোর আস্থা ভিনদেশি আম্পায়ারদের প্রতি। এতে পুরোপুরি ডিভিশন লিগে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশি আম্পায়াররা। এতে ফেডারেশনের প্রতি ক্ষোভ না থাকলেও আম্পায়ারদের মান উন্নয়নে সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি তাদের।
দেশি আম্পায়াররা বলেন, এখন আমরা দুই হাজার টাকা করে পাচ্ছি প্রতি ম্যাচে। আগে সাড়ে ১২০০ টাকা পেতাম। তবে আরেকটু বাড়ানো গেলে আমাদের অনেক সুবিধা হতো।
দীর্ঘদিন পর মাঠে গড়ানো লিগের চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ দলের জন্য আছে প্রাইজমানি। তবে বিগত বছরের লিগের মতই এবারে জয়ী দলকে দেয়া হবে এক লাখ আর রানার্স আপ দল পকেটে পুরবে ৫০ হাজার টাকা।