স্বাধীনতার পরই তৈরি হয়েছে দেশের হকি ফেডারেশন। একসময় ছিল ক্লাব হকি মানেই প্রিয় দলের জয়ে স্টিক নিয়ে সমর্থকদের উল্লাস। আর কণ্ঠে ভেসে আসতো প্রিয় খেলোয়াড়দের নামে স্লোগান। তবে সময়ের পালাক্রমে সেসব এখন সবই স্মৃতি।
দীর্ঘ ৫১ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অর্জন নেই ক্রীড়াঙ্গনের এই খেলাটির। আউটডোর সুবিধা থাকলেও ইনডোর স্টেডিয়ামের অভাবে আন্তজার্তিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয় খেলোয়াড়দের। তবে ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবকের সশরীরে আগমন অনেকটা হকির ঘোর অন্ধকার কেটে আলো ফোটার মতো।
ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি এখানে আসার আগে যাদের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম, তারা বলেছে এটা সম্ভব না। কিন্তু আমার দেখার পর মনে হয়েছে, এটা সম্ভব। একটা জিনিস করে দিলাম, তারপর আর কিছু হলো না, এটা তো হয় না। আসলে এগুলো এতো সহজ না।’
ক্লাব কাপ হকির মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সোনালী ব্যাংক, সাধারণ বীমার মতো সরকারি দলগুলোর অনাগ্রহ খতিয়ে দেখার নির্দেশনা পেয়েছে নতুন মন্ত্রীর থেকে।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘সরকারি যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, তাদের নিজস্ব ফান্ড রয়েছে। তারা কেন অংশ নেবে না, এ বিষয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি (মন্ত্রী) আমাদেরকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন।’
ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘আগে আমি এখানে জমজমাট টুর্নামেন্ট দেখে গেছি। মাঝখানে কেন হয়নি, এটা জানতে হবে। আর আগে অংশ নিয়েছে, এখন অংশ নেয় না কেন?’
সঠিকভাবে ফেডারেশনগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা আর দিক-নির্দেশনা পেলে দেশের সম্ভাবনাময় খেলাগুলো আবারও প্রাণ ফিরে পাবে, এমন প্রত্যাশা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।