দেশটির রাজধানী নাইরোবির ইস্টল্যান্ড এস্টেটে একদল তরুণ-তরুণী তরবারি দিয়ে খেলছে। আর রোমাঞ্চকর সে দৃশ্য উপভোগ করতে তাদের ঘিরে তৈরি হয় মানুষের ভিড়। ৬ জন ফেন্সারের খেলা দেখে আশেপাশের রাস্তাতে স্বাভাবিক চলাফেরা স্থবির হয়ে যায়।
বর্তমানে ক্রীড়াক্ষেত্রে খুব একটা বিচরণ নেই কেনিয়ার। অনেক আগে ক্রিকেটে সম্ভাবনাময় একটি দল হওয়ার দৌড়ে থাকলেও অর্থনৈতিক টানাপোড়নে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছে দেশটি। এরপর ক্রীড়াঙ্গনে মনে গেঁথে থাকার মতো কোনকিছু করেছে কিনা তা হয়তো অনেকেরই অজানা।
তরবারি দিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করা যায় এমন খেলা ফেন্সিংয়ের দিকে ঝুঁকছে দেশটি। ব্যয়বহুল হওয়ায় কেনিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলাটি রাজকীয় বললে ভুল হবে না।
জনপ্রিয় নয় এমন খেলা দেখে অনেকটা অবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় রাস্তায় যারা ফেন্সিং করছেন তাদের লক্ষ্য খেলাটিকে পরিচিত করে তোলা।
এক তরুণী বলেন, এই খেলাটি একদমই আলাদা। অনেক মানুষ এই খেলাটি সম্পর্কে জানেন না। ফুটবলের সঙ্গে মানুষ যেমন পরিচিত, এটির সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। এটি আমাকে খুব সাহায্য করেছে। আমার মতে আশেপাশের বিভিন্ন অপরাধ থেকে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।
সাভোরা মাতানি ফেন্সিং ক্লাবের কোচ আইজ্যাক এমবুরু কেনিয়ার জাতীয় ফেন্সিং দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।
কোচ আইজ্যাক এমবুরু বলেন, আমি যে জীবনে ছিলাম সেই জীবনে আর কোনো যুবককে দেখতে চাই না। সে কারণে আমরা আরও যুবকদের ফেন্সিংয়ে আনতে দিনের পর দিন কষ্ট করে যাচ্ছি।
২০২১ সালে রাজধানী নাইরোবিতে মাত্র কয়েকজনকে নিয়ে যাত্রা করা সাভোরা মাতানি ক্লাবের মাধ্যমে দেশটিতে ফেন্সিং খেলার সূচনা হয়।