মাঠ সংকট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাফুফের প্রথম ধাপ ছিলো ফিফার অর্থায়নে দুই মাঠে টার্ফ বসানো।
গেল ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শুরু হয় কমলাপুর স্টেডিয়ামে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর) মাঠ বুঝে পেলো বাফুফে। প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছে টার্ফ। আপাতত বাফুফের পরিকল্পনা মাঠে খেলা নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে টার্ফের তদারকির ব্যাপারেও পরিকল্পনা করছে বাফুফে।
বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আমাদের ফাইনাল বাজেট এখন যেটা খরচ হয়েছে এক দশমিক তিন মিলিয়ন ডলার। পুরো ডলারটাই আমাদের ফিফা ফরওয়ার্ড প্রোগ্রাম থেকে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের জেনারেটর ব্যাকআপ থাকবে। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করবো সেইম ফরওয়ার্ডের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের বাকি যে কাজগুলো বাকি আছে, সেগুলো অতি শিগগিরই ইম্প্রুভ করে একটা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের জায়গায় নিয়ে আসতে চাই।’
শুধু স্টেডিয়াম নয়, এর পাশাপাশি রামুতে ফুটবলের এক্সিলেন্স সেন্টার নিয়ে আছে মহা পরিকল্পনা। টার্ফ বসানো হলেও বাকি স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। ২০২৫ সালেই পুরো কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী বাফুফে সভাপতি।
ক্রীড়া উপদেষ্টার বিশ্বাস ফুটবলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অব্যাহত থাকলে একসময় বিশ্বমঞ্চে খেলবে বাংলাদেশ।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফে ফিফার অর্থায়নের একটা এক্সিলেন্স সেন্টারে কাজ করার বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছিলো। রামুতে ১৫ একর একটা জায়গা কনফার্ম করেছি যেটা আমরা বাফুফেকে দেবো। সেখানে আমাদের একটি এক্সিলেন্স সেন্টার থাকবে। সেটা ফুটবলের জন্য ডেডিকেটেড থাকবে।’
মাঠের ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তবে নিজেদের সম্ভাবনাগুলোর দিকে মনযোগী হলে দেশের ফুটবলে একদিন আন্তর্জাতিক সাফল্য ধরা দিবে লাল সবুজদের এমনটাই বিশ্বাস ক্রীড়ামোদীদের।





