নারী ফুটবলে টানা সাফল্য আসলেও তাদের পর্যাপ্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিনের অবহেলা দৃশ্যমান। চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের এখনো থাকতে হয় বাফুফের ডরমেটরিতে। তবে সময় পাল্টেছে, তাই পরিবর্তনও প্রত্যাশিত। প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতে তাই অধিনায়ক সাবিনার দাবি থাকবে মাথা গোঁজার জন্য ভালো ঠাঁইয়ের।
জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, 'পার্সোনালি প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো যেন মেয়েদের একটা করে ফ্ল্যাট দেই যা মেয়েদের জন্য বড় গিফট হবে।'
নারী ফুটবলারদের বেতন নিয়ে টানাপড়েন বাফুফে পাড়ায় নতুন কিছু নয়। নিয়মিত হয় না নারী ফুটবল লিগও। আর দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে খেলতে যাওয়ার চিন্তা যেন আকাশকুসুম ভাবনা। বাফুফের নতুন কমিটির কাছে সেসব বিষয়েরও প্রতিকার চান ক্যাপ্টেন সাবিনা।
সাবিনা খাতুন বলেন, ‘চাওয়া পাওয়া তো অবশ্যই আছে। আমাদের যেন বেতন বাড়ানো হয়। পাশাপাশি বেতন যেন নিয়মিত হয়। এছাড়া নারী লীগ যেন মাঠে দীর্ঘ সময় থাকে। অবশ্যই সাফের পরে যেন আমরা সাউথ এশিয়ার ভিতরে পরে থাকি। আমরা যেন এশিয়াতে মুভ অন করি সেটা যেন টার্গেট থাকে।’
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। ফুটবলারদের প্রতি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অধিনায়ক, সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়ে তার প্রতিদানও দিয়েছে মেয়েরা। এবার কি প্রতিদান পাবেন দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা নারী ফুটবলাররা? নাকি পুরোনো বঞ্চনার গল্পেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে?