বলা হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রতিপক্ষের জন্য রাতটা সাধারণত লম্বা হয়। কারণ এই সবুজ গালিচাতেই লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে লেখা আছে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ জয়ের অসংখ্য উপাখ্যান।
গত বুধবার ডর্টমুন্ডকেও পিছিয়ে পরে ৫-২ ব্যবধানে হারিয়েছিলো অল হোয়াইটরা। তবে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে জার্মান ট্যাক্টিশিয়ান হ্যান্সি ফ্লিকের ভেল্কিতেই মুদ্রার অপর পিঠও দেখতে হলো আনচেলেত্তি শিষ্যদের।
বার্সার পরিচিত টিকিটাকা থেকে বেরিয়ে প্রথমার্ধ্বে লম্বা পাস আর হাই লাইন ডিফেন্সে রিয়ালকে বোকা বানিয়েছে বার বার। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে ৭ বার অফসাইড, যার কারণে বাদ পড়েছে গোলও। এতেই মূলত নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছে এমবাপ্পে বেলংহ্যামরা।
গোলশূন্য প্রথমার্ধ্বের পর ৫৩ মিনিটে লেওয়ানডেস্কির পায়ে গোলমুখ খোলে কাতালানরা। তিন মিনিট পরই হেড নিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই পোলিশ তারকা।
৬৪ ও ৭১ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পের। ৬৬ মিনিটে ফ্রেঞ্চ তারকা জালে পাঠানো বল অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি।
৭৬ মিনিটে অতিথিদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন লামিন ইয়ামাল। আনসু ফাতিকে সরিয়ে এল ক্লাসিকোর সর্বকনিষ্ঠ গোলস্কোরার এখন এই ওয়ান্ডার কিড। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন রাফিনিয়া।
আগের টানা চার এল ক্লাসিকোতে হারের প্রতিশোধ যেন এক হালি গোল দিয়েই তুলে নিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
এই হারের আগে টানা ৪২ ম্যাচে কোনো হারের মুখ দেখেনি রিয়াল। এ সময়ে তারা ৩১ ম্যাচে জয় ও ১১টি ম্যাচে ড্র করেছে। রিয়ালকে হারিয়ে বার্সেলোনা লিগে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে গেল। ১১ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট বার্সার, সমান ম্যাচে রিয়ালের সংগ্রহ ২৪ পয়েন্ট।