ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল মানেই টাকার ঝনঝনানি। প্রতি মৌসুমে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই দরদাম করে ফুটবলারদের দলে ভিড়ায় ক্লাবগুলো। ফুটবল মাঠ দাপিয়ে বেড়ালে যেমনি বাজার দর বাড়ে তেমনি মলিন পারফরম্যান্সের কারণে তা কমেও যায়। এমন অনেক ফুটবলার আছেন, যারা কি না শুরুতে দাপুটে ফুটবল খেলে চওড়া দামে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে, ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় মার্কেট ভ্যালু হ্রাস পেয়েছে।
এই যেমন জার্মান ফুটবলার জশুয়া কিমিক। গেল মৌসুমে এই মিডফিল্ডারের বাজার দর ছিল ৭৫ মিলিয়ন ইউরো। স্বদেশি ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তেমন ফর্মে না থাকায় সেই দর কমে হয়েছে ৫০ মিলিয়ন। শুধু ক্লাবই নয়, জাতীয় দলের হয়েও নিষ্প্রভ ছিলেন জশুয়া। বড় অঙ্কের বাজার দর কমা ফুটবলারদের মধ্যে এক নাম্বারে আছে তার নাম।
কিমিখের মতোই ২৫ মিলিয়ন দাম কমেছে ফরাসি ফুটবলার কলো মুয়ানির। নিজ দেশের ক্লাব পিএসজির হয়ে সাদামাটা মৌসুম পার করেছেন এই সেন্টার ফরোয়ার্ড। ২৫ বছর বয়সী খেলোয়াড়ের বাজার দর এখন ৪৫ মিলিয়ন ইউরো।
কানাডা জাতীয় দলের অধিনায়ক আলফননো ডেভিস ক্যারিয়ারের শুরুতে বেশ আলো ছড়িয়েছিলেন। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই লেফট ব্যাক। সবশেষ কোপা আমেরিকায় দল ইতিহাস গড়লেও ডেভিস স্পটলাইটে থাকতে পারেননি। এ কারণেই ২০ মিলিয়ন বাজার দর কমেছে ২৩ বছর বয়সী তারকা ফুটবলারের।
এবারের কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নেমেছেন নাহুয়েল মলিনা। দল শিরোপা জিতলেও অ্যাসিস্ট বা গোল, কোনোটিই করতে পারেননি এই রাইটব্যাক। আক্রমণের ক্ষেত্রেও তেমন ভূমিকায় দেখা যায়নি অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে খেলা মলিনাকে। নতুন মৌসুমের খেলা মাঠে গড়ানোর আগে তার বাজারদর কমেছে ১৭ মিলিয়ন ইউরো।
এছাড়া কাইসেদো, মার্টিনিলি, কিংসলে, কোমানদের মতো তারকা ফুটবলারদেরও বড় অঙ্কের বাজারদর কমেছে। যার মূল কারণ জাতীয় দল এবং ক্লাবের হয়ে পারফর্ম করতে না পারা।