'মেসি যা চান তাই পান' কথাটা এভাবে বললেও খুব একটা ভুল হওয়ার কথা না। ক্লাব ফুটবল থেকে শুরু করে দেশের জার্সিতে না পাওয়া বলে কিছু আর বাকি নেই তার। তবে প্রকৃতির কাছে তো তিনিও বাধা। বয়সের সাথে তো আর দক্ষতা কিংবা পায়ের জাদুতে ঘায়েল করা সম্ভব না। ৩৭ বছর বয়সি মেসির নিজের কথাতেই অনেকটা পরিস্কার হয়তো মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামেই বৈশ্বিক আসরের ফাইনাল ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছেন।
ফাইনাল কেনো, যে মেসি পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলটাই ঘুরিয়ে দিলেন তার খেলা দেখতে তো দর্শক এমনি ব্যাকুল হয়ে আছেন। তার ওপর যদি হয় শেষ ফাইনাল তবে সেখানে তো উচ্ছ্বাস, ব্যাকুলাতকেও ছাপিয়ে যাবে আবেগ। তাই হয়তো কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের দাম আকাশচুম্বী হয়ে আছে।
গ্রুপ পর্ব, কোয়ার্টার ফাইনাল কিংবা সেমিফাইনাল, যেখানে টিকিট মিলতো ২০০ ডলারেও, সেখানে ফাইনাল ম্যাচে টিকিট পেতে হলে দর্শকদের গুণতে হচ্ছে ২ হাজার ডলারেরও বেশি। ফোর্বসের তথ্য মতে, এই ম্যাচের সবচেয়ে দামি টিকিটের মূল্য গিয়ে ঠেকেছে ৬৬ হাজার ৭৬৫ ডলার। ৬৫ হাজারের বেশি ধারণ ক্ষমতার হার্ড রক স্টেডিয়ামের প্রতিটি আসন বিক্রিতে রিসেলার প্রতিষ্ঠানগুলোর চলছে রমরমা ব্যবসা।
এমনিতেই মাঠে মেসি রদ্রিগেজদের খেলা দেখাটায় টিকিটের দাম ষোল আনা উষুল হতো দর্শকদের। তার ওপর বাড়তি বোনাস যুক্ত করবে পপ তারকা শাকিরা। ফাইনালের মধ্য বিরতিতে দর্শকদের সংগীতের তালে নাচাবেন কলম্বিয়ান এই শিল্পী। এমন ভরপুর বিনোদনের সুযোগ কে বা হাতছাড়া করতে চাইবে। তাই তো কোপার টিকিট এখন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
একদিকে যখন কোপার টিকিট পেতে হাহাকার অন্যদিকে ইউরোর ফাইনালের টিকিট একেবারেই সস্তা হয়ে আছে। বার্লিনে স্পেন-ইংল্যান্ডের ফাইনাল ম্যাচের সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য ১০০ ডলারের আশেপাশে। আর সর্বোচ্চ মূল্য ২ হাজার ডলারের বেশি।