সবশেষ ২০ বছর আগে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছিল নেদারল্যান্ডস। সেবার ফাইনাল না খেলেই বিদায় নিতে হয়েছিল ডাচদের। দলটির সাফল্য বলতেও ৩৬ বছর আগে একবার ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া। শিরোপা জয়ী দলেরই খেলোয়াড় রোনাল্ড কোমান এখন ফন ডাইকদের কোচ। খেলোয়াড় হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দেয়া এবার কোমানের স্বপ্ন কোচ হিসেবে শিরোপা পুনরুদ্ধার।
যদিও চলতি আসরে গ্রুপপর্বেই বিদায়ের শঙ্কা জেগেছিল নেদারল্যান্ডসের। কোনোমতে প্রথম পর্বের বাধা পেরোলেও নকআউট পর্বে উঠে যেন পাল্টে গেছে পুরো দল। রাউন্ড অব সিক্সটিনে রোমানিয়ে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠে নেদারল্যান্ডস। শেষ আটে তুর্কিয়ের কাছে পিছিয়ে থাকার পরও ২-১ এ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে তারা।
দলীয় পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও এগিয়ে ডাচ ফুটবলাররা। আসরে সর্বোচ্চ গোল ও অ্যাসিস্টের দৌঁড়েও সবার চেয়ে এগিয়ে গাকপো, সিমন্সরা। ফলে ফাইনালে ওঠার আগে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী কোমানের শিষ্যরা।
বিপরীতে খুব একটা স্বস্তিতে নেই গতবারের রানারআপ ইংল্যান্ড। টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে উঠলেও তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক বলেই মনে করেন অনেকে। তারকা ঠাসা দল গড়েও অনেকটা ভাগ্যের জোরেই এই পর্যন্ত এসেছে সাউথ গেটের দল। দারুণ মৌসুম পার করা হ্যারি কেইন, জুড বেলিং হ্যাম, ডেক্লান রাইসরা বারবারই গোলপোস্টে খুঁজে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এজন্য অবশ্য অনেক গণমাধ্যমই দায়ী করছে সাউথ গেটের ট্যাকটিস।
গ্রুপ চ্যাস্পিয়ন হলেও পরের পর্বগুলোতে খেই হারিয়েছে কেইন বাহিনী। শেষ ষোলতে স্লোভেকিয়ার সাথে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করলেও কোয়ার্টফাইনাল গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। তবে এসব নিয়ে এখন ভাবছে সাউথ গেট। সঠিক সময়েই দলের তারকা ফুটবলাররা জ্বলে উঠবে বলে আশাবাদী তিনি।
২০ বছর পরে সেমিফাইনালে ওঠা নেদারল্যান্ডস সামনে সুযোগ নিজেদের শিরোপা পুনরুদ্ধারের। অন্যদিকে কখনই ইউরোর স্বাদ না পাওয়া ইংল্যান্ডও মুখিয়ে আছে শিরোপার ছোঁয়া পেতে। স্বপ্ন বাস্তবায়নে কে উঠবে ফাইনালে সেটিই এখন দেখার অপেক্ষা।