ফুটবল
এখন মাঠে
0

নারী খেলোয়াড়দের খাদ্য তালিকায় পুষ্টির অভাব

ফেডারেশনগুলোর অবহেলায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে দেশের নারী খেলোয়াড়রা। সঠিক খাদ্যভ্যাসের মধ্যে ক্যাম্প করার কথা থাকলেও তা মানছে না অনেক ফেডারেশন। নিজেদের ইচ্ছামতো খাবার তালিকায় সব বয়সের অ্যাথলেটদের দেয়া হচ্ছে একই খাবার।

একটা সাফল্য নতুন করে বড় কোনো অর্জনের দুয়ার খুলে দেয়। তা করতে দেশ কিংবা বিদেশ লাল সবুজের পতাকা উড়াতে দিনরাত ছুটে চলে দেশের প্রমিলা খেলোয়াড়রা। গৌরব অর্জনে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সাফের শিরোপাও ঘরে তুলেছে নারী ফুটবলাররা। তবে সাবিনা, তহুরাদের পুষ্টি নিশ্চিতে কী করছে বাফুফে?

শুনতে অনেকটা অবাক লাগলেও হোটেলের খাবার দিয়েই চলছে নারীদের পুষ্টি নিশ্চিতের কাজ!

খেলোয়াড়দের খাবার সরবরাহ করা হোটেল মালিক বলেন, 'প্রতিদিন আমরা ৪ বার খাবার সরবরাহ করে থাকি। বাফুফে থেকে নির্দেশনা দেওয়া আছে খাবারে যেন তেল না থাকে।'

প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে আড়াইহাজার ক্যালরি প্রয়োজন একজন নারী খেলোয়াড়ের। এর মধ্যে অ্যাথলেটদের বয়স, উচ্চতা, ওজন এবং প্রতিদিনের অনুশীলনের ওপর খাদ্যের ধরন ও পরিমাণে তারতম্য হয়। তবে নিজেদের করা খাদ্য তালিকায় পুষ্টি চাহিদার শতভাগ কি নিশ্চিত হচ্ছে?

নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলম বলেন, 'স্বাস্থ্য শিক্ষা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুতরাং এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে খেলোয়াড়দের সহযোগিতা নেয়া উচিত।'

পুষ্টিবিদরা জানান, পুষ্টির ঘাটতি থাকলে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবটুকু দেয়া সম্ভব নয়। সেই সাথে অনেক রকমের শারীরিক জটিলতাসহ মৃত্যুঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

খেলোয়াড়দের পুরোপুরি পুষ্টি নিশ্চিতে সংস্থাগুলোকে সতর্ক হবার পরামর্শ পুষ্টিবিদদের, না হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। এমনকি ভালো খেলোয়াড়দের জন্যও কঠিন হবে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো।

এভিএস