চলতি বছরে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে ব্যস্ত সূচি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসর। যে টুর্নামেন্টকে ঘিরে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। কারণ সেখানে ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা খেলে থাকে। বরাবরের মতো এবারও দুই দলের খেলোয়াড়দের দিকেই ফোকাস থাকবে।
এর মধ্যে অন্যতম লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারের শেষবেলায়ও এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। কোনোরকম তর্ক ছাড়াই বলা যেতে পারে, কোপা আমেরিকায় এটাই মেসির শেষ আসর। নিজের ক্যারিয়ারের শেষ কোপা আমেরিকার আসর নিশ্চয়ই আর্জেন্টাইন মহাতারকা রাঙাতে চান।
গেল বছর ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে এন্ড্রিকের। মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলেই টিম ম্যানেজম্যান্টের মন জয় করেছেন এই ফরোয়ার্ড। ৫৫ মিলিয়ন মার্কেট ভ্যালুর এন্ড্রিক ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের হয়ে আলো ছড়ানোয় তাকে জাতীয় দলে নেয়া হয়েছে। আসন্ন মৌসুমে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১৭ বছর বয়সী এন্ড্রিকের খেলার কথা রয়েছে। তাই ব্রাজিলের হয়ে দুই গোল করা এই তারকার দিকে ফোকাস থাকবে কোপা আমেরিকায়।
তারই স্বদেশী ভিনিসিউস জুনিয়রও যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্যই মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন। এবারের মৌসুমে রিয়ালের হয়ে দারুণ ফর্মে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। লা-লিগা আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়েই ২০টি গোল করেছেন। তাছাড়া স্প্যানিশ সুপার কাপেও ৩ বার নিশানাভেদ করেছেন তিনি। বলা যেতে পারে, কোপা আমেরিকায় তাকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাবে যেকোনো দল।
খেলা যেহেতু আমেরিকায় সেহেতু দেশটির ফুটবলারদের দিকেও নজর থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক এর মধ্যে অন্যতম। এবারের মৌসুমে এসি মিলানের এই উইঙ্গারের ১৫টি গোল আছে।
মেক্সিকান ফরোয়ার্ড সান্তিয়াগো গিমিনিজ গেল বিশ্বকাপে স্কোয়াডে জায়গা পাননি। বিশ্ব আসরে সুযোগ না পেলেও ভেঙে পড়েননি। সেবার ১৫ গোল করে ডাচ ক্লাব ফেইনুর্ডকে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতাতে রেখেছেন অবদান। এবারের মৌসুমে তার গোল সংখ্যা ২৩টি। যে কারণে এবারের কোপা আমেরিকায় স্পটলাইট থাকতে পারে আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া ফুটবলারের দিকে।
১৬ দলের এই আসর আগামী ২১ জুন শুরু হবে।