নীল কালিতে আট লাইন লেখা ন্যাপকিন পেপারের মূল্য ১১ কোটি টাকা। ভাবতেই অদ্ভুদ লাগার মতো বিষয় কি? তা তো বটেই। তবে এই মূল্য দিতে হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসির জন্য।
নিজের কারিশমায় দিনকে দিন ফুটবল জগতে সেরাদের কাতারে নাম লেখানো লিওর স্বাক্ষর যে আছে সেই ন্যাপকিন পেপারে। ২৪ বছর আগে লিওর সঙ্গে করা বার্সেলোনার চুক্তিতে সাধারণ পেপার থেকে ঐতিহাসিক হয়েছে ন্যাপকিনটি।
চলতি বছরের মার্চে ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামসের তোলা পেপারটির ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ পাউন্ড। অনলাইনে হওয়া ন্যাপকিনটির বিক্রি মূল্য সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৩৫ হাজার পাউন্ড উঠতে পারে বলে সম্ভাব্য একটা ধারণা করা হয়। তবে বার্সা মেসির সম্পর্কের দলিলের মূল্য ছাড়িয়ে গেছে প্রত্যাশার থেকেও বেশি। ৭ লাখ ৬২ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপারটি। তবে বিশাল অঙ্কের মূল্যে কেনা পেপারটির বর্তমান মালিকের নাম প্রকাশ করেনি বোনহামস।
২০০০ সালে বাবার হাত ধরে মাত্র তেরো বছর বয়সে বার্সেলোনায় প্রবেশ লিওনেল মেসির। সে সময়ই কিশোর মেসির মাঠের ফুটবলে জাদুকর হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন ক্লাবের সাবেক ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাস। কোনোভাবেই তরুণ এই প্রতিভাবান ফুটবলারকে হাতছাড়া করতে চাননি বার্সেলোনা। তবে মেসিকে ধরে রাখতে তখনও কোনো চুক্তিপত্র প্রস্তুত ছিলো না ন্যু ক্লাবের। হোটেলে মেসিসহ তার বাবার সঙ্গে স্বাভাবিক আলোচনাকালীন এক নেপকিন পেপারে এলএমটেনকে ক্লাবের নেয়ার ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেন রেক্সাসসহ বিখ্যাত এজেন্ট জোসেফ মারিয়া মিঙ্গুয়েলা এবং আর্জেন্টিনার মেসির এজেন্ট হোরাসিও জাগিওলি।
সেই ন্যাপকিনে এক সাক্ষরে আজকের এলএমটেন হয়ে উঠার গল্প শুরু ক্যাম্প ন্যু থেকে। এরপর বার্সার হয়ে জিতেছেন অনেক পুরস্কার। বার্সা ছাড়ার পরও পিএসজি বর্তমানে ইন্টার মায়ামিতে নিজের ফুটবল কারিশমায় দ্যুতি ছড়াচ্ছেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার।