লিওনেল মেসি যেনে ইন্টার মায়ামির পরশ পাথর। যার ছোঁয়ায় আমূল বদলে গেছে ক্লাবটি। মাত্র এক বছরের মাথায় একের পর এক সাফল্য পাচ্ছে দলটি। শুধু মাঠের খেলা নয়, মেসির প্রভাবে বদলে গেছে ক্লাবটির পুরো অবকাঠামোর চিত্র।
মূলত গেলো বছর মেসি যোগ দেয়ার পরই শুরু হয় মায়ামির দিন বদলে হাওয়া। কেবল মায়ামি নয় পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলের চিত্রই পাল্টে গেছে। হোম কিংবা অ্যাওয়ে মেসির কারণে গ্যালারিতে ব্যাপক হারে বাড়ছে দর্শক উপস্থিতি। যেটা বাণিজ্যিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলেছে বাকি ক্লাবগুলোকেও। কারণ মেজর লিগ সকার এখন আকাশচুম্বি আকর্ষণে ঠেকেছে দেশটিতে।
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে ইন্টার মায়ামি। ক্লাবটির টিকিট বিক্রি ছাড়াও ক্রীড়া সামগ্রীও ভক্তদের কাছে চাহিদার তুঙ্গে। মেসির আগমণে ধারণা করা হয়েছিলো আগের তুলানায় ৬ কোটি ডলার বেশি আয় করবে ক্লাবটি। তবে গেলো বছর সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ডলার। এমনকি চলতি বছরে এই আয় পৌঁছাতে পারে ২০ কোটি ডলারে।
হাভিয়ের আসেনসি বলেন, 'মেসির আগমণে প্রত্যাশিত আয় ৬ কোটি ডলার থেকে ১৩ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। আশা করছি এ বছর আয় বেড়ে ২০ কোটি ডলার হবে। ইন্টার মায়ামি প্রাক মৌসুমে যে আয় করেছে সেটা পেশাদার ক্লাবগুলোর থেকে বেশি। মেসির অবদান এখানে সবচেয়ে বেশি।'
শুধু মেজর লিগ সকারেই নয়। ইন্টার মায়ামি এখন আয়ের দিক দিয়ে টেক্কা দিচ্ছে ইউরোপের জায়ান্ট ক্লাবগুলোর সঙ্গেও। বিশেষ করে প্রাক মৌসুমে ইউরোপের অনেক ক্লাবের থেকে আয় বেশি হয়েছে মায়ামির।
মেসির আগমণে বিশ্বের সব নামিদামি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতেও মায়ামি। এরই মধ্যে অ্যাপেল, অ্যাডিডাস, রয়েলক্যারিবিয়ানসহ বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সাউদ বিচের ক্লাবটির সাথে। এবার আরেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ভিসা মায়ামির সাথে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।