ফুটবল
এখন মাঠে
আড়াই বিলিয়ন ইউরো আয়ের সুযোগ ম্যানসিটির
চলতি মৌসুমে ট্রেবল জিততে পারলে রেকর্ড আড়াই বিলিয়ন ইউরো আয় করবে ম্যানচেস্টার সিটি। শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন লিগ জিততে পারলেই পাবে ২ বিলিয়র ইউরোর বেশি। আর এই বড় আয়ের পথে বাধা এখন রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে লস ব্লাঙ্কোদের হারাতে পারলে যেটা আরও সহজ হবে সিটিজেনদের।

এখন পর্যন্ত কোনো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবই টানা ট্রেবল জয়ের কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। তবে এবার সেই অনন্য কীর্তি গড়ার লক্ষ্যে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। সবশেষ লিগ ম্যাচে লিভারপুল আর আর্সেনালের হারে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দ্বারে সিটিজেনরা। একইসাথে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফ এ কাপের ট্রফির যোগ্য দাবিদার পেপ গার্দিওয়ালার দল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবারও ট্রেবল জয়ের সুবাস পাচ্ছে ইংলিশ ক্লাবটি।

আর এটা জয় করতে পারলে শিরোপার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের আয়ও, করতে পারবে ম্যানচেস্টার সিটি। যদি পর্যায়ক্রমে এফ এ কাপ, প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারে দলটি তাহলে আড়াই বিলিয়ন ইউরোর বেশি আয় করবে গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। যেখানে শুধু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলেই পাবে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ইউরো। আর প্রিমিয়ার লিগ জিতলে আয় করবে দেড়শ মিলিয়ন ইউরো। তবে এসব নিয়ে এখনই ভাবতে নারাজ পেপ গার্দিওয়ালা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-৩ গোলে আটকে দিয়ে আপাতত চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে ওঠার লক্ষ্য ম্যান সিটির। আর ফিরতি লেগের খেলাটা ইতিহাদে বলেই আশাবাদী সিটিজেনরা। এ মাঠে এখনও স্বাগতিকদের হারানোর তিক্ততা পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা।

গেলো বছর রিয়ালকে বিধ্বস্ত করেছিলো ৪-০ গোলে। যে ক্ষত এখনও হয়তো সুকায়নি আনচেলত্তির শিষ্যদের। এই ম্যাচকে সামরে রেখে কাইল ওয়াকার, কেভিন ডি ব্রুইনাদের স্কোয়াড পাচ্ছেন গার্দিওয়ালা। ফলে প্রথম লেগের তুলনায় শক্তিশালি স্কোয়াড পেতে যাচ্ছে ম্যান সিটি।

তবে, উল্টো চিত্র রিয়াল মাদ্রিদের ডেরায়। আগে থেকেই নেই গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া এবং দাভিদ আলাবা। ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে দেখা যাবে না চুয়ামেনিকেও। যেটা দুশ্চিন্তার বড় কারণ রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। তারপরও হাল ছাড়তে নারাজ দলটির কোচ।

এদিকে এক যুগেরও বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ আর্সেনালের। সেক্ষেত্রে টপকাতে হবে বায়ার্ন মিউনিখের দেয়াল। সাম্প্রতিক সবকিছুই কথা বলছে বার্য়ানের পক্ষে। তবে এমিরেটসে প্রথম লেগ কিছুটা আশা দেখাচ্ছে গানারদের। যদিও প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে ঘরের মাঠে হেরে ব্যাকফুটে আর্সেনাল। সঙ্গে অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড আর বুকায়ো সাকার চোটে কপালে ভাঁজ কোচ মিকেল আর্তেতার।

ইনজুরি জটিলতা আছে বায়ার্ন মিউনিখ শিবিরেও। সার্জ গ্যানাব্রি, কিংসলে কোমান, লেরয় সানেদের সঙ্গে সাইড লাইনে থাকতে হবে নিষেধাজ্ঞায় থাকা আলফানসো ডেভিসকে। শেষ তিন আসরে শেষআটের গণ্ডি পার হতে পারেনি বায়ার্ন। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার।

এমএসআরএস