ভিলা সফরে যাবার আগে আর্সেনাল এ বছর প্রিমিয়ার লিগে সম্ভাব্য ৩৩ পয়েন্টের মধ্যে ৩১ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু সাবেক বস উনাই এমেরির কাছে বড় ধাক্কা খেতে হলো গানার্সদের।
আর্সেনাল মিডফিল্ডার ডিক্লান রাইস বলেন, 'জানুয়ারি থেকে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি তা কেউই প্রত্যাশা করেনি। আজ তার অবসান হলো। এখন আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি এখনো লিগে সবই সম্ভব। আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে শিরোপা জন্য তিন দল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যেকোন সময় চিত্র পাল্টে যেতে পারে।'
প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মিকেল আর্তেতার দল। শুরুতেই লিনড্রো ট্রোসার্ডের একটি নিশ্চিত শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন আর্সেনালের সাবেক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিপরীতে ভিলাও থেমে থাকেনি। ওলি ওয়াটকিন্স ও ইউরি টিয়েলেমান্সের দুটি শট বারে লেগে ফেরত আসে। ম্যাচ শেষের ছয় মিনিট আগে লুকাস ডিগনের লো ক্রস থেকে ডেডলক ভাঙ্গেন বেইলি।
এরপর ম্যাচ শেষের তিন মিনিট আগে আর্সেনালের একটি কর্ণারের পর কাউন্টার এ্যাটাক থেকে ওয়াটকিন্স ভিলাকে তিন পয়েন্ট উপহার দেন। এর মাধ্যমে আর্লিং হালান্ডের সাথে সর্বোচ্চ ২০ গোল স্পর্শ করে গোল্ডেন বুট জয়ের পথে এগিয়ে গেলেন ওয়াটকিন্স।
এই জয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা টটেনহ্যামের থেকে তিন পয়েন্ট এগিয়ে আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করলো ভিলা।
ম্যাচ শেষে এমেরি বলেন, 'সবসময় যা চাই সেভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। কিন্তু আজ আমরা দুর্দান্ত খেলেছি।'
আর্সেনালের মতো প্রায় একই চিত্র ছিল এ্যানফিল্ডে লিভারপুলের। মৌসুমের শেষে এসে জার্গেন ক্লপের দলের এমন পারফরম্যান্স মেনে নেয়া কঠিন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ আট ম্যাচে মাত্র তিনটিতে জয়ী হয়েছে রেডসরা। যে কারণে মৌসুম শেষে ক্লপের বিদায় ক্ষণটিও ম্লান হয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার ইউরোপ লিগে আটালান্টার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হবার আগ পর্যন্ত টানা ১৪ মাস ঘরের মাঠ এ্যানফিল্ডে কোন প্রতিযোগিতায় পরাজিত হয়নি লিভারপুল। ২০২২ সারের অক্টোবরের পর কাল তারা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল।
১৪ মিনিটে এবেরেচি এজের একমাত্র গোলে প্যালেসের জয় নিশ্চিত হয়। জিন-ফিলিপ মাত্তোতর আরও একটি শট গোললাইনের উপর থেকে এন্ডি রবার্টসন ক্লিয়ার না করলে ব্যবধান বাড়তে পারতো।
বিরতির পর আরও সংঘবদ্ধ হয়ে খেলা শুরু করে লিভারপুল। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি। ডারউইন নুনেজের শট সরাসরি ডিন হেন্ডারসনের হাতে ধরা পড়ে। কার্টিস জোনস, মোহাম্মদ সালাহ ও দিয়োগো জোতা রেডসের অন্তত এক পয়েন্ট উপহার দিতে পারতো। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।
শিরোপা জয় সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্লপ স্পষ্ট করে বলেন, 'আমি বোকা নই। এর উত্তর একেবারেই সহজ। প্রথমার্ধে আমরা যেভাবে খেলেছি সেটা যদি ধরে রাখতে পারি তবে আমাদের অবশ্যই শিরোপা জেতা উচিৎ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যা খেলেছি তাতে সেটা সম্ভব নয়। এভাবে খেললে আমরা ফুটবল ম্যাচ জিততে পারবো। যদি ম্যাচ জিতি তাহলে প্রশ্ন হলো কয়টি ম্যাচ আমরা জিতেছি। অন্য দলগুলোর ফলাফলও এখন ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে।'
এদিকে এই দুই দলের পরাজয়ে প্রথম ক্লাব হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো ইংলিশ শিরোপা জয়ে সিটির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে টানা চতুর্থবারের মতো ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেবার পথে বড় ধাক্কা খেয়েছে ওয়েস্ট হ্যাম। গতকাল তারা ফুলহ্যামের কাছে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে।