২৭ বছর বয়সী রড্রি সর্বশেষ ২০২৩ সালের মার্চে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো ২০২৪ বাছাইপর্বে স্পেনের হয়ে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন। এরপর তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল করে সিটিকে শিরোপা উপহার দিয়েছেন। সিটিকে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের শিরোপা জয়ে সহযোগিতা করেছে। একইসাথে স্পেনের নেশন্স লিগের শিরোপা জয়ে অবদান রেখেছেন।
সিটি বস পেপ গার্দিওলা নিয়মিত ভাবেই রড্রিকে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার হিসেবে প্রশংসা করে থাকেন। সিটিতে বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় থাকা সত্তেও গার্দিওলার জন্য রড্রি যেন অপরিহার্য্য অংশে পরিণত হয়েছেন।
দীর্ঘ ইনজুরির কারণে এবারের মৌসুমে প্রায় বেশিরভাগ ম্যাচে সিটিজেনরা আর্লিং হালান্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনাকে দলে পায়নি। এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় সিটির চারটি পরাজয়ের ম্যাচেই নিষেধাজ্ঞার কারনে রড্রি অনুপস্থিত ছিলেন। একইভাবে এক বছর আগে হ্যাম্পডেন পার্কে স্কটিশদের কাছে হারের পর গত মাসে প্রীতি ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে স্পেনের একমাত্র পরাজয়ের ম্যাচটিতে পুরো ৯০ মিনিট রড্রি বদলী বেঞ্চে ছিলেন।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুই সপ্তাহ আগে স্পেন বনাম ব্রাজিলের মধ্যকার ৩-৩ গোলের ড্রয়ের প্রীতি ম্যাচটিতে রড্রি জোড়া গোল করেছেন।
গত সপ্তাহে এ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মৌসুমের অষ্টম গোল করার পর গার্দিওলা বলেছেন, রড্রিই সেরা। তার পজিশনে সেই সেরা, যে কারণে আমার কাছে মনে হয় আমার দলে সবকিছু আছে। যেভাবে রড্রি ম্যাচের আবহ বুঝতে পারে তাতে মনে হয় সবসময় সে প্রস্তুত থাকে। অনেক দিক থেকেই সে সেরা। উপস্থিতি, শারীরিক সক্ষমতা, সব মিলিয়ে একজন পরিপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে রড্রি মাঠে নামে।
গত গ্রীষ্মে জুড বেলিংহামকে দলে ভেড়ানোটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অনেক বড় একটি সফলতা ছিল। আর্থিকভাবে লাভবান প্রিমিয়ার লিগের কোন ক্লাবই তাদের ঘরের ছেলেকে ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু সিটি বিশ্বাস করে মাদ্রিদে জন্ম নেয়া রড্রি প্রায় একইভাবে বেলিংহামের মতই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছে। ভিয়ারিয়াল থেকে মাত্র এক মৌসুম এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে কাটানোর পর ২০১৯ সালে ৬২ মিনিয়র ইউরোতে রড্রিকে দলে ভেড়ায় সিটি।
দুই বছর আগে বার্নাব্যুতে সিটি দুই গোলে এগিয়ে থাকলেও স্টপেজ টাইমের গোলে ফিরে এসে রিয়াল ১৪তম ইউরোপীয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল। এক বছর পর আরও এক সেমিফাইনালে গার্দিওলার দল মাদ্রিদকে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে মধুর প্রতিশোধ নেয়।
রড্রি বিশ্বাস করে ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে স্বাগতিক সমর্থকদের সুবিধা তারা পুরোপুরি আদায় করে নিতে পারবেন। ২০১৮ সালের পর নিজেদেও মাঠে সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজিত রয়েছে।
এ সম্পর্কে রড্রি বলেন, 'আমরা একে অপরকে খুব ভালভাবে চিনি। গত বছরের অভিজ্ঞতা আমরা এবার কাজে লাগাতে চাই। আমরা জানি রিয়ালের বাঁধা পেরুনো সত্যিই দারুন কঠিন। কিন্তু সত্যি বলতে কি ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ খেলার সুবিধা আমি এখনই দেখতে পাচ্ছি।'