ধারাবাহিক ম্যাচের ক্লান্তি আর চোটই যেন এখন লিওনেল মেসির বড় প্রতিপক্ষ। দুই যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে এতো ধারাবাহিক ইনজুরিতে এর আগে কখনো পড়েননি ফুটবলের বিশ্বসেরা এই তারকা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের ধকল মানিয়ে নেয়াটাও এখন মেসির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গেলো বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর বিপক্ষে পুরো ম্যাচ না খেলেই মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর প্রাক মৌসুমে এশিয়া সফরে খেলেননি একাধিক ম্যাচ। মেসির না খেলা নিয়ে বিতর্কের জেরে পরবর্তীতে চীনে বাতিল হয়েছে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর সবকিছুর পেছনেই কারণ মেসির ইনজুরি। যা শেষ পর্যন্ত মেসিকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হয়েছে।
চোট নিয়েই চলতি মৌসুমে ইন্টার মায়ামিকে জিতিয়েছেন একাধিক ম্যাচ। তার অবদানেই মেজর লিগে শীর্ষ অবস্থানে মায়ামি। একইসঙ্গে ন্যাশভিলকে হারিয়ে কনকাকাফের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছেন মেসি-আলবারা।
তবে বিপত্তি বাঁধে সে ম্যাচে মেসির চোট নিয়ে মাঠ ছাড়ার পর। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন তিনি। ফলে বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না আর্জেন্টাইন এই জাদুকর। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার দুটি প্রীতি ম্যাচও রয়েছে। কোপা আমেরিকার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এল সালভাদর ও কোস্টারিকার বিপক্ষে যথাক্রমে ২৩ ও ২৭ মার্চ ম্যাচ দু'টি খেলবে তারা।
দলটির পক্ষ থেকে এখনো পরিষ্কার কোন বার্তা না দিলেও, ইনজুরির কারণে ম্যাচগুলোতে যে মেসির খেলা হচ্ছে না সেটি অনেকটা নিশ্চিত।
২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ফুটবলে পূর্ণতা লাভ করেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে আগেই সম্ভাব্য সব অর্জন করেছেন এলএমটেন। মেসির ক্যারিয়ার এখন গোধূলি বেলায়, শেষবারের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে চাইবেন নিজেকে। তবে মেসির এই লক্ষ্যের পথে চোট বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।