গেল বছরের ডিসেম্বরে ওপেন হার্ট সার্জারির পর কাজী সালাউদ্দিনকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে প্রায় এক মাস। পরে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকের নিষেধ থাকায় বাফুফেতে আসতে পারেননি। অপারেশন পরবর্তী ফলোআপের জন্য জার্মানিতে এক মাস থেকেছেন বাফুফে সভাপতি।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ২৯ দিন পর দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরদিনই ফেডারেশনে হাজির হন কাজী সালাউদ্দিন।
কিংবদন্তী সাবেক এই ফুটবলার কখনোই লম্বা সময় দেশের বাইরে থাকেননি। কিন্তু সুস্থতার জন্য বাধ্য হয়েই আপন ঠিকানা ছেড়ে থাকতে হয়েছে তাকে। দেশের বাইরে থাকলেও, ঠিকই রেখেছেন ফুটবলের খোঁজ খবর।
সালাউদ্দিন বলেন, 'ফুটবল মন্ডলে যখন আসি, তখন মনে করি এটা আমার পৃথিরী। মনে হয় আমার রক্তে ফুটবল মিশে আছে।'
কাজী সালাউদ্দিনের অসুস্থতার মাঝেই নারীদের বয়সভিত্তিকের দু'টি সাফে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের ফাইনালে হয়েছে বিতর্ক। মাঠে না থাকলেও সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে তাকে।
বড় ধরনের অপারেশনের পর কাজী সালাউদ্দিন নিয়মিত ফুটবলে সময় দিতে পারবেন কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে।
তিনি বলেন, 'আমার পরিবার কখনও চায় না যে আমি এখানে আরও থাকি। এটা তারা আরও ৬ থেকে ৭ বছর আগে থেকেই বলে আসছে। আমি সভাপতিত্ব ধরে রাখবো কিন্তু আসবো না, এমন হবে না। আমি যদি সভাপতি থাকি আসমি আসবোই।
অপারেশনের পর প্রায় ৩ মাস বাফুফেতে আসতে পারেননি কাজী সালাউদ্দিন।