আর সাবিনাদের ফোকাস থাকবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও ফিফা উইন্ডোতে। ব্যস্ততা থাকলেও নারী ফুটবলারদের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই গেছে।
গেল বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। যা দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ১৪ বছরের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স। তাছাড়া লেবাননের বিপক্ষে জামালদের পারফরম্যান্সও ছিলো প্রশংসনীয়। রয়েছে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে আফগানিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে রুখে দেয়ার সুখস্মৃতি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও লেবানিজদের বিপক্ষে ঠিকই পয়েন্ট পেয়েছে ক্যাবরেরা শিষ্যরা। অর্থাৎ গেল বছর জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের পারফরম্যান্সটা নেহায়েদ মন্দ ছিলো না।
গত বছরের মতো চলতি বছরেও ব্যস্তসূচিতে জামাল-মোরসালিনরা। এ বছরে ক্যাবরেরা শিষ্যরা খেলবে মহাগুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চারটি ম্যাচ। সেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন আর লেবাননের মতো দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পর জুলাইয়ে হতে পারে সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ। তাছাড়া সারাবছরে ঘরোয়া ফুটবলের সূচি তো আছেই।
অন্যদিকে নারী ফুটবলাররাও অলস সময় কাটাবেন না। তাদের খেলতে হবে দক্ষিণ এশিয়ার মর্যাদাপূর্ণ আসর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। শিরোপা ধরে রাখার জন্য সাবিনারা নিশ্চয়ই সেরা প্রস্তুতিটাই নিতে চাইবেন। এছাড়া রয়েছে ফিফা উইন্ডো। যদিও ২০২৩ সালে প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারনি সাফজয়ীরা।
ছেলেদের মতো মেয়েরাও খেলবে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। ব্যস্তসূচিতে ছেলেদের আর্থিক নিরাপত্তা থাকলেও মেয়েদের আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ গেল বছর নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বাফুফে ঘটা করে চুক্তি করলেও বেতনটা অনিয়মিতই। কারণ বছরের শেষদিকে সময়মতো পারিশ্রমিক পাননি সাবিনা-সানজিদারা।
নারীদের ফ্রেন্ডলি ম্যাচে একাদশে থাকা খেলোয়াড়রা পান ১০ হাজার আর সাইড বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররা পান ৫ হাজার। অর্থাৎ প্রীতি ম্যাচ খেললে সাবিনারা যে খুব বেশি অর্থ পান, সেটাও বলা যাবে না। এমনিতেই উপার্জন কম, তার মধ্যে বেতনটা ঠিকঠাক না পেলে নারী ফুটবলে আশানুরূপ ফলাফল আসবে কিনা, সেরকম প্রশ্ন থেকেই যায়।