জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এহসানুল হক সেজানের কথাতেই স্পষ্ট, যুব পর্যায়ের ক্রিকেটারদের তৈরি করতে তার নজর ঢাকার বাইরে। যে পিচ জাতীয় দলের পরিসংখ্যান করে সমৃদ্ধ, সেই পিচ থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন খোদ বিসিবির অধীনে থাকা নির্বাচকই।
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে দুই বারের এশিয়া কাপ এবং একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। আরও একবার বিশ্বকাপের আগে যুব পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছে আফ্রিকার মাটিতে। সাফল্য পেয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে। সাফল্যের মন্ত্রটা তাহলে কোথায়? সিজান জানাচ্ছেন উত্তরটা।
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের নির্বাচক এহসানুল হক সেজান বলেন, ‘আমি রাজশাহীতে প্র্যাকটিস করেছি। আমি তাদের বলেছি আমার এক মাসের প্র্যাকটিস আছে আপনি ছয়টি উইকেট বানান, যে ছয়টি উইকেট বাউন্স উইকেট থাকবে। সেসব উইকেটে আমাদের প্লেয়ারদের টেস্ট দিয়েছে। সিলেটে বলেছি আমার জন্য তিনটি উইকেট রেডি করে রাখবেন।’
আরও পড়ুন:
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ নির্বাচক জানালেন, তার দল পুরোপুরি প্রস্তুত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে। দলের শক্তিমত্তা নিয়েও কথা বলেছেন এখন টিভির ক্যামেরায়।
এহসানুল হক সেজান আরও বলেন, ‘রিজান, আব্দুল্লাহ এবং রাতুল এই তিনজন যেভাবে ব্যাটিং করছে তার ফলে আমরা যেই প্রবলেমে ছিলাম যে, মিডওডার ব্যাটসম্যানরা পারফর্ম করছে না, সেই জায়গা থেকে আমরা ওভারকাম করেছি।’
সিজান নিজে ক্রিকেটারদের তৈরি করতে ছুটছেন ঢাকার বাইরে। দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ তৈরি করতেও বিভিন্ন জেলা এবং বিভাগীয় স্টেডিয়ামে নজর তার। জানালেন, বিতর্ক কাটিয়েই ক্রিকেটের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সম্ভব ঢাকার বাইরের মাঠগুলোতে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমাদের বান্দরবানে ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ের মাঠ রয়েছে। এসব মাঠের উন্নয়ন করেন, এতে বেশি তো সময় লাগবে না বা অর্থ লাগবে না।’
বাংলাদেশ থেকে বিদায়ের পর গামিনি ডি সিলভা বলেছিলেন, নিজের পছন্দমতো পিচ তৈরি করতে পারেননি। নিজের প্রথম সিরিজে টনি হেমিংও পারেননি সন্তুষ্ট করতে। পিচ নিয়ে অভিযোগ, আর নানা প্রতিবন্ধকতার বাইরে সদিচ্ছার অভাবটাও হয়ত ভোগাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে।




