দেশের ক্রিকেটের পোস্টার বয়দের নাম নিতে গেলে সবার আগেই উঠে আসবে মোহাম্মদ আশরাফুলের নাম। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে হয়েছিলেন সর্বকণিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। সেই আশরাফুলই দায়িত্ব নিতে চলেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচের। আসছে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ঘরের মাঠে অ্যাশের কোচিংয়েও মাঠে নামবে টাইগার ব্যাটাররা।
অবশ্য আশরাফুলের এই কোচ হয়ে আসা ভালো চোখে দেখেননি কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার। তবে এই মুহুর্তে সেসব সমালোচনা গায়ে মাখতে চান না অ্যাশ।
আশরাফুল বলেন, ‘অবশ্যই সমালোচনা করবেন। তবে সেই সমালোচনা একটু রয়ে-সয়ে করলে ভালো, আমার কাছে মনে হয়। কারণ সবাই চায় বেস্টটা দিতে।’
বাংলাদেশের কোচ হওয়া সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। খারাপ করলে কটাক্ষের শিকার হতে হয় প্রায় সময়ই। তাছাড়া দলের ব্যাটাররাও যাচ্ছেন খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে। সেসব নিয়ে চিন্তা থাকলেও আপাতত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে চান সাবেক এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন:
মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘যখন খেলতাম তখনও দেখতাম যে, একটা ভালো জায়গায় ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হবো, ভালো কিছু করবো। এখন যেহেতু কোচিং লাইনে এসেছি, আমার যেটা ইচ্ছা যে আমার ব্যাটসম্যানরা প্রত্যেক সেকেন্ড ইনিংসেই বড় বড় রান করবে।’
ক্রিকেটার হিসেবে ড্রেসিংরুমের অভিজ্ঞতা আছে আশরাফুলের। এবার হবেন একই দলেরই কোচ। অভিজ্ঞতা যে ভিন্ন হতে চলেছে তা তিনি নিজেই জানালেন।
অ্যাশ বলেন, ‘সিমন্সের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হলো ’৯৮ এ। তখন আমি বল বয় ছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম রানার্স আপ হয়েছিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উইলস কাপ, তখন থেকেই। যেহেতু আমি বল বয় ছিলাম, তাকে আমি লেগ স্পিন করেছিলাম। একটা বল নকিংয়ের সময়, সেকেন্ড বলটা আমি গুগলি করেছিলাম। সে গুগলিটা রিড করদেত পারেনি।’
গুঞ্জন রয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে অভিজ্ঞ এক কোচকে ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দিতে চলেছে বিসিবি। তার আগে আয়ারল্যান্ড সিরিজটি হতে পারে আশরাফুলের জন্য লিটমাস টেস্ট। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলে ব্যাটিং কোচ হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদেও ভাবা হতে পারে তাকে।




