আসন্ন বিসিবি নির্বাচন পরিণত হয়েছে ‘যেমন খুশি তেমন সাজোর’ মঞ্চে। আর সেই মঞ্চে মঞ্চায়িত হচ্ছে একের পর এক নাটক। তাতে যথাসময়ে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা জাগলেও, আপাতত হাইকোর্টের রায়ে সেই শঙ্কা কেটেছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ১৫ ক্লাবও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
বিসিবির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বলেন, ‘জেলা এবং বিভাগে যে চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিলো সেটি আর থাকবে না। ইলেকশনের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। নির্বাচনে যে ১৫টি ক্লাবকে স্থগিত করা হয়েছিল তারাও ভোট দিতে পারবে।’
রায় পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাহার কারীদের একজন ও ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু। পাশাপাশি নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া কিংবা নতুন তফসিল ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারক লিপিও পাঠিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন:
ইন্দিরা রোড ক্রিকেট ক্লাবের ক্রীড়া সংগঠক রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমরা যারা নির্বাচন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি এ বিষয়ে সমাধান চাই। আমরা পুনরায় তফসিল ঘোষণা করার জন্য আবেদন করবো।’
এদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চললেও মেয়াদের শেষদিনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি জানান, নির্বাচিত হলে ঘরোয়া আসর বয়কটের হুঁশিয়ারি দেয়া ৪৮ ক্লাবকে আলোচনা করে খেলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করবেন তারা।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো আলোচনার মাধ্যমে সব ক্লিয়ার করতে।’
পক্ষে-বিপক্ষে নানা মুনীর নানা মত থাকলেও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অর্থাৎ ৬ অক্টোবরই অনুষ্ঠিত হবে বিসিবি নির্বাচন। যদি আবারও নতুন কোনো ড্রামাটিক টার্ন না ঘটে।





