বিসিবিতে মোট ২৫ জন পরিচালক কাজ করেন। এর মাঝে ক্লাব কোটায় নির্বাচিত হন ১২ জন পরিচালক। বিভাগীয় কোটা থেকে ১০ জন, সাবেক ক্রিকেটার, সার্ভিসেস ও বিশ্ববিদ্যালয় কোটা থেকে একজন ও এনএসসি কোটায় দুজন পরিচালক নির্বাচিত হন।
প্রথম ক্যাটাগরি: ক্লাবভিত্তিক পরিচালক
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ক্লাবভিত্তিক পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণত ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠক বা সাবেক ক্রিকেটার এ পদে প্রার্থী হন। প্রতিটি ক্লাব থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি বা কাউন্সিলররা এ পদে ভোট প্রদানের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত করেন। ৫৮ জন কাউন্সিলর এই ক্যাটাগরিতে ভোট দিয়ে থাকেন।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরি: বিভাগীয় পরিচালক
দেশের সাতটি বিভাগ থেকে বিসিবির ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা থেকে দুজন করে এবং রাজশাহী, রঙপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ থেকে একজন করে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এই পদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিভাগের অন্তর্গত জেলার ক্রীড়া সংস্থার মনোনীত কাউন্সিলররা ভোট প্রদান করে থাকেন। এই ক্যাটাগরিতে সব মিলিয়ে ৭১ জন কাউন্সিলর ভোট দিতে পারেন।
তৃতীয় ক্যাটাগরি: বিশেষ কোটায় পরিচালক
সাবেক খেলোয়াড়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি বা সার্ভিসেস সংস্থার প্রতিনিধিরা এই পদে পরিচালক হওয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারেন। এই কোটা থেকে মাত্র একজন পরিচালক নির্বাচিত হন। ৪৫ জন কাউন্সিলর এই ক্যাটাগরিতে ভোট দিতে পারেন।
চতুর্থ ক্যাটাগরি: এনএসসি কোটায় পরিচালক
এই ক্যাটাগরিতে ভোটের মাধ্যমে নয়, সরাসরি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়নের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচিত হন। সবমিলিয়ে মোট ১৭৪ জন কাউন্সিলর বিসিবি নির্বাচনে ভোট প্রদান করে থাকেন।
১৯৯৮ সাল থেকে বিসিবিতে পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকলেও ২০১২ সাল পর্যন্ত সরকার থেকেই নির্ধারিত হতো কে হবেন বিসিবি সভাপতি। ২০১৩ সাল থেকে সভাপতি পদেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এক্ষেত্রে, ২৫ জন নির্বাচিত পরিচালক নিজেদের মাঝে ভোটের আয়োজন করেন। যেখানে সভাপতি পদপ্রার্থীর জন্য ন্যুনতম একজনের প্রস্তাব ও একজনের সমর্থন প্রয়োজন হয়। একাধিক প্রার্থী থাকলে পরিচালকদের ভোটাভুটিতে যিনি জয়লাভ করেন তিনিই বিসিবির সভাপতির চেয়ারে বসেন।





