বড় প্রত্যাশা নিয়েই বাংলাদেশ দলের কোচ হয়েছিলেন ফিল সিমন্স। সেই প্রত্যাশায় কিছুটা অন্তত আলো দেখছে বাংলাদেশ। এক বছর আগেও টি-টোয়েন্টিতে রীতিমত ধুকতে থাকা বাংলাদেশ এখন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সাফল্য পাচ্ছে নিয়মিত। গেলো ১ বছরে সিমন্সের অধীনে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের যেকোনো কোচের জন্য যা সর্বোচ্চ। সেই সিমন্সের অধীনেই এবার আরও এক ‘প্রথম’-এর সামনে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে এর আগে কখনোই দেশের বাইরে হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি বাংলাদেশের। সেই সুযোগ এবার এসেছে জাকের আলী অনিকের দলের সামনে। শারজাহতে আগের দুই ম্যাচে স্নায়ুচাপের পরীক্ষা দিয়ে জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। তাতেই ট্রফি নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। এতে করে সিরিজ হেড-টু-হেডেও এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এক সিরিজ হারলেও জয় পেয়েছে দুই সিরিজে।
আরও পড়ুন:
যদিও দুই ম্যাচে টাইগার ব্যাটারদের নিয়ে প্রশ্ন ছিলো অনেক। প্রথম ম্যাচে ৯ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারানো কিংবা দ্বিতীয় ম্যাচে টপ-অর্ডারে রান না পাওয়া নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তার কারণ। তৃতীয় ম্যাচে সম্মিলিতভাবে ব্যাটিং ইউনিট নিজেদের প্রমাণ করবে, সেটার অপেক্ষাতেই থাকবেন ক্রিকেটভক্তরা।
অবশ্য শারজাহ স্টেডিয়ামের চিরচেনা ধীরগতির পিচে টাইগার বোলাররা নিয়মিত সহায়তা করছেন জয়ের ভিত গড়ে দিতে। প্রথম দুই ম্যাচেই আফগান ব্যাটারদের ইনিংস লাগামের মাঝে রেখেছিলেন মুস্তাফিজ-শরিফুল-নাসুমরা। তৃতীয় ম্যাচে তাদের দিকেই অনেকাংশে নির্ভর করবে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ম্যাচের পর বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স সন্তুষ্টি জানিয়েছেন শিষ্যদের আগ্রাসী ক্রিকেট নিয়ে। লোয়ার মিডল অর্ডারের প্রতিও মুগ্ধতা ঝরেছে ক্যারিবিয়ান এ কোচের। ফিল সিমন্সের স্মরণীয় সিরিজের শেষটা তার শিষ্যরা রাঙাতে পারবেন কি না, সেটাই এখন মাঠের খেলায় নিষ্পত্তি হওয়ার পালা।





