দেশি কোচদের মান নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। জাতীয় দল থেকে বয়সভিত্তিক, সব পর্যায়ে কোচিংয়ের জন্যই তাকিয়ে থাকতে হয় বিদেশিদের দিকে। এ নিয়েও আছে বিস্তর সমালোচনা।
মানসম্মত দেশি কোচ না থাকায় ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মানোন্নয়নও হয় না। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে খাবি খান ঘরোয়া ক্রিকেটের তারকারা।
ক্রিকেটারদের মান বাড়াতে তাই আগে কোচদের মান বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘ ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো লেভেল থ্রি কোচিং কোর্স।
এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন রাজিন সালেহ, তালহা জুবায়ের, তুষার ইমরান, এনামুল জুনিয়রসহ ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত কোচরা। প্রশিক্ষণ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রশিক্ষকরা।
আরও পড়ুন:
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ক্রিকেট সার্ভাইভ করার জন্য একটা কোচিং পাথওয়ে তৈরি করতে হয়। এই পাথওয়েটা হচ্ছে— লেভেল ওয়ান, লেভেল টু, লেভেল থ্রি। লেভেল থ্রি-টা এখানে কখনোই হয়নি। আমাদের দেশের যারা হাই পারফরম্যান্স ক্রিকেটার তাদের যেন আমরা নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে পারি এবং কোচরা যেন কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ডে কী কী হচ্ছে তা জানতে পারি।’
কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রশিক্ষণ কোর্স। সব ধাপে উত্তীর্ণ হতে পারলেই মিলবে লেভেল থ্রি কোচিংয়ের সার্টিফিকেট।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এ কোর্সটি দুই ভাগে বিভক্ত। একটা হচ্ছে, রেসিডেনশিয়াল কোর্স, যেটা ৫ দিন শেষ হলো। এরপর তারা ৯০ দিন ধরে বিভিন্ন প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করবে। এরপর যে রেজাল্ট আসবে, সে রেজাল্টের ওপর নির্ভর করবে যে, তারা কোয়ালিফাইড কোচ হতে পারছে কি না।’
কেবল ঘরোয়া ক্রিকেট নয়, শরফুদ্দৌলা সৈকতের দেখানো পথ ধরে আইসিসির এলিট প্যানেলে ভবিষ্যতে আরো বেশি বাংলাদেশি কোচ জায়গা করে নেবেন বলেও প্রত্যাশা বিসিবি সভাপতির।





