বৃদ্ধাঙ্গুলিই বটে। নতুবা হোম অব ক্রিকেটে বোর্ড কর্তাদের নাকের ডগায় বসে অমন কাণ্ড ঘটানোর সাহস কি করে পান ক্রিকেটাররা!
গেল বুধবার গুলশান ক্রিকেট ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের পর সবার নাকেই লাগে ফিক্সিংয়ের দুর্গন্ধ। তারকা ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সামাজিক মাধ্যমে সবাই তোলেন ছি ছি রব।
ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘দে আর অ্যাট দ্য ভেরি বিগিনিং অব দেয়ার ক্যারিয়ার। এই স্টেজে ছেলেরা যদি এ ধরনের কাজ করে আমার মনে হয় না ওই ছেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিলং করবে বা তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক দূর যাবে। এরকম মেন্টালিটি থাকলে আমার মনে হয় ক্রিকেট না খেলে অন্য পেশা বেছে নেয়া ভালো। তাহলে দেশের ক্রিকেটের জন্য এবং ওর নিজের জন্য ভালো হবে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে প্রতিবারই টালবাহানা করে ক্লাবগুলো। যেটি ফিক্সিংয়ের অনুঘটক হতে পারে বলে মনে করেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
ইমরুল কায়েস বলেন, দিনশেষে ম্যাটার করে টাকা। আপনি যদি খেলে টাকা না পান, আপনার ফ্যামিলি চালাতে হবে। ফ্যামিলি না চললে আপনি কী করবেন? ডিফারেন্ট পেশা বেছে নিতে হবে। আর এ পেশায় থাকলে কীভাবে অনৈতিক কাজ করা যায় সেটাই করতে হবে। কীভাবে অল্প সময়ে শর্ট মানি মেক করা যায় সেটাই করতে হবে। তো এগুলাই হচ্ছে আল্টিমেটলি।’
নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে কর্পোরেট দলগুলো মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে মত ইমরুল কায়েসের।
তিনি বলেন, ‘মনোক্ষুন্ন হয়েছে ম্যাচ দেখে। কালকে আমরা সবাই খেলাটা দেখছিলাম। ওই খেলাটার ওপর আমাদের অগ্রণী ব্যাংকের রেজাল্ট কী হবে সেটা নির্ভর করছিল। অগ্রণী ব্যাংক টিমটা কিন্তু প্রথমে হচ্ছিল না। অনেক কষ্ট করে চেয়ারম্যানকে রাজি করিয়ে টিমটা করেছি। এখন টিমটার সাথে যদি এমন হয় পয়েন্ট ভালো থেকেও আমরা কোয়ালিফাই করতে পারছি না বিকজ অব এ নোংরামির কারণে। এগুলো যদি হয় তাহলে টিমগুলোর আশার জায়গা নষ্ট হয়ে যাবে।’
ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন ওঠার পর গুলশান ও শাইনপুকুরের ম্যাচটি নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি। সেটির ফলের দিকেই তাকিয়ে সবাই।