ক্রিকেট থেকে রাজনীতি। এক সময়ের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা, তবে সময়ের বিবর্তনে জনমনে জন্ম দিয়েছে ক্ষোভ আর হতাশা।
রাজনৈতিক পালাবদলের পর দেশের দুই ক্রিকেট নক্ষত্রের জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার। একের পর এক মামলা, মুক্ত বাতাসে নিশ্বাস নেয়াটাও এখন কঠিন। তাই বাধ্য হয়েই লোকচক্ষুর আড়ালে সাকিব আল হাসান আর মাশরাফি বিন মোর্ত্তোজা
মাশরাফি দেশে থাকলেও সাকিবের সেই সৌভাগ্য হয়নি। নানা চেষ্টার পরও দেশের হয়ে খেলতে পারেননি নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ। নিরাপত্তাজনিত কারণে সাকিবকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের ক্রীড়াজগতের আরেক কিংবদন্তী ফুটবলার আমিনুল হক মনে করেন, সাকিব-মাশরাফির এমন পরিণতির দায় শুধুই তাদের।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক বলেন, ‘সাকিব-মাশরাফি দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে একটি স্বৈরাচার দলের এমপি হয়েছে। তাদের নির্বাচনে জনগণের মতামত ও ভোট ছিল না। গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপর যেভাবে জুলুম নিপীড়ন চালিয়েছে, এখন সাকিব-মাশরাফি সেই স্বৈরাচার সদস্য হবার কারণে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ঘৃণিত তারা। এজন্য বাংলাদেশে তাদের কোথাও স্থান নেই।’
যদিও বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন এই ফুটবলার। তবে নিজে যা সহ্য করেছেন, সাকিব মাশরাফির বেলায় তার পুনরাবৃত্তি চান না আমিনুল।
সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক আরো বলেন, ‘ আমার ওপর স্বৈরাচার সরকার যেভাবে জুলুম নিপীড়ন চালিয়েছে। কিন্তু আমি একজন স্পোর্টসম্যান হিসেবে চাই না কোনো স্পোর্টসম্যানের সঙ্গে এমনটা হোক।’
এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আগামী নির্বাচনে তামিম ইকবাল অংশ নিলে, তার পাশে থাকার ঘোষণা এই ফুটবলারের।
আমিনুল হক বলেন, ‘তামিম যদি বোর্ডের পরিচালক বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, আমরা অবশ্যই তাকে স্বাগত জানাবো। সঙ্গে আশা করবো তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।’