ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

মাহমুদউল্লাহর শেষ ম্যাচেও ব্যর্থতা টাইগারদের

হায়দারাবাদে একই মাঠ, একই উইকেট। তবে ভারত-বাংলাদেশ দুই দলের ব্যাটিং হলো পুরো বিপরীতমুখী। প্রথম ইনিংসে যেখানে বোলারদের কাঁদিয়ে ২৯৭ রান করলো ভারত, সেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পুরোটাই হতাশায় মোড়ানো। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিদায়ী ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেননি ব্যাটাররা। যার ফলশ্রুতিতে ১৩৩ রানের বড় হারে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে ভারত সফর শেষ হলো টাইগারদের।

টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলাকালীন অবসরের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ তাই অভিজ্ঞ ব্যাটারের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। এমন ম্যাচের আগে মাহমুদউল্লাহর হাতে স্মারক তুলে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টসের সময় অধিনায়ক শুনিয়েছিলেন আশার বাণী। তবে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী ম্যাচ লেখা থাকবে এক লজ্জাজনক গল্পে।

হায়দরাবাদে রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং-স্বর্গে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়ারা বাংলাদেশের বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান। ব্যাটিংয়ে স্যামসন ভারতের হয়ে দ্রুততম ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। এর সঙ্গে সূর্যকুমারের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৯৭ রানের পুঁজি পায় ভারত। বল হাতে এদিন এক উইকেটের দেখা পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

স্যামসন-সূর্যকুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ারা সবমিলিয়ে মেরেছেন ২২টি ছক্কা ও ২৫টি চার। ৫০ এর বেশি রান দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে তানজিমের দেওয়া ৬৬ রান ফরম্যাটটিতে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ড। যদিও তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেছেন।

প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম বলেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। মায়াঙ্ক যাদবের গতিময় শর্ট বলে যেন দেখতেই পাননি বাঁহাতি ওপেনার। ইনিংস বড় হয়নি এই ম্যাচেই সুযোগ পাওয়া আরেক ওপেনার তানজিদ তামিমেরও। অধিনায়ক শান্তর বেখেয়ালী রিভার্স সুইপ আবারও তাকে বাউন্ডারির বদলে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছে।

তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন টপঅর্ডার ব্যাটার লিটন দাস। এই দু'জনের ব্যাটিংয়ে সম্মানজনক হারের জন্য খেলতে থাকে বাংলাদেশ। যদিও সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন। দলীয় ১১২ রানের মাথায় রবি বিষ্ণোইর বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্যক্তিগত ৪২ রানে তিলক ভার্মার হাতে ধরা পড়েন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শেষ ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহও। নিজের বিদায়ী ম্যাচে মায়াঙ্ককে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় সীমানায় ধরা পরেছেন মাত্র ৮ রানে।

এরপর রিশাদ হোসেনের ডাক, শেখ মেহেদির ৩ রানের ভিড়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি। বাংলাদেশ তাতে ইনিংস শেষ করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর