লড়াই দেখে মনে হবে বাংলাদেশের মেয়েরা যেনো ম্যাচ হারতেই মাঠে নেমেছিলো। একের পর এক উইকেটের পতন হয়েছে। হতাশায় মোড়ানো ব্যাটিং বাংলার মেয়েদের।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ছক্কা হাঁকানো দিলারা আক্তার পরের বলেই নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন। এরপর শুরু হয় আসা যাওয়ার প্রতিযোগিতা।
কে কার আগে প্যাভিলিয়নে ফিরবেন তা নিয়েই চলছিল আলোচনা। ৫০ রানের আগেই ৬ টাইগ্রেস ব্যাটার আউট হয়ে যায়। উইকেট আগলে রেখে তখনও খেলছেন অধিনায়ক জ্যোতি।
মাঠে নারী দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা নিগার সুলতানা লড়ে গেছেন একা। তার ব্যাট থেকে রান এলেও খেলেছেন ধীরগতির ইনিংস। ২০ নম্বর ওভার শেষে দলের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৮০ রানে। এর মধ্যে জ্যোতি একাই করেছেন ৩২। আর ১৯ রান আসে স্বর্না আক্তারের ব্যাট থেকে।
৮১ রানের মামুলি টার্গেট ভারতের সামনে। গেলো ৮ বারের এশিয়া কাপের সাতবারই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় নারীরা। নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা এ আসরের এবারের সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বোলারদের পাত্তাই দেননি ভারতীয় দুই ওপেনার।
স্মৃতি মান্ধানার ৩৯ বলে ৫৫ আর শেফালি ভার্মার ২৬ রানের ইনিংসেই ৯ ওভার হাতে রেখে সহজ জয় ভারতের। বাংলাদেশের এ হারে আবারও একটি ফাইনালে উঠার সুযোগ হাতছাড়া হলো নারী ক্রিকেটারদের। সামনে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। সে প্রস্তুতিটা তাহলে কেমন হলো মারুফা, নাহিদাদের? নিশ্চয়ই সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট।