টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের অঘোষিত রাজত্বই চলে। ফ্ল্যাট পিচ আর ব্যাটারদের আগ্রাসনে রান বন্যার এই ফরম্যাটে অধিকাংশ সময়ই বোলাররা হয়ে যান অসহায়। বিশ্বকাপেও রান বন্যা হবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিলো আসর শুরুর আগে। তবে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠতেই দেখা গেল ভিন্নতা। দেড়শ' পেরোনোই যেখানে রীতিমতো স্বপ্নের সমান। যদিও তাতে উত্তেজনার কমতি ছিল না, বোলাররা মাতিয়ে রেখেছেন আসর। তবু চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখতে না পারার আক্ষেপ তো রয়েই যায়।
বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের খেলায় ২০ দল খেলেছে মোট ৪০ ম্যাচ। যদিও ফল এসেছে ৩৬টি ম্যাচ থেকে। যেখানে দুইশ' পেরোনো ইনিংস দেখা গেছে মাত্র তিনটি। সর্বোচ্চ ২১৮ রান আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বিপরীতে একশ'রও কম রানে গুটিয়ে যাওয়া ইনিংস দেখা গেছে রেকর্ড ১২ বার।
নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রানের পুঁজি নিয়েও ২১ রানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এতো কম রান সংগ্রহ করে জেতেনি কোনো দল। এছাড়াও ১২০ রানেরও কম করে ম্যাচ জয়ের নজির দেখা গেছে অনেক।
গ্রুপ পর্বজুড়ে লো স্কোরিং ম্যাচগুলোতে ছিলো পেসারদের দাপট। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে স্পিনাররা উইকেট তুলতে পারলেও মার্কিন মুলুকে রীতিমতো হাপিত্যেশ করেছে উইকেটের জন্য। তাইতো সেখানে পেসারদের ১২৫ উইকেটের বিপরীতে স্পিনারদের ঝুলিতে গেছে মাত্র ৩৪ উইকেট। মাত্র ৪ ম্যাচেই ১২ উইকেট শিকার করে সবার শীর্ষে আছেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি।
রান খরচের হিসাবেও বেশ কিপটে ছিলেন পেসাররা। ওভারপ্রতি মাত্র ৩ রান খরচ করেছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৩.৩৮ রান। ওভারে পাঁচেরও কম দিয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন বোলার আছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা বিরল ব্যাপার।
গ্রুপ পর্বে সেঞ্চুরির দেখাই পাননি কোন ব্যাটার। ফিফটিও হয়েছে মাত্র ২৬টি। সর্বোচ্চ ৯৮ রানের ইনিংস আসে নিকোলাস পুরানের ব্যাটে।
এরিমধ্যে সুপার এইট শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপও মার্কিন মুলুক ছেড়ে পুরোপুরি ক্যারিবিয়ানে পাড়ি জমিয়েছে। এবার যদি ব্যাটারদের ভাগ্য ফেরে আর কি।