শুরু ভালো তো শেষ ভালো না। বোলিং ভালো হলে ব্যাটিং ভালো হয় না। একসঙ্গে সব বিভাগে ভালো করার নজির খুব কম বাংলাদেশের। তাই তো সাফল্যের হারও কম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সৌম্য-তানজিদের ওপেনিং জুটিতে দীর্ঘদিন পর পাওয়ারপ্লের সর্বোচ্চ ব্যবহারে বড় অংকের রান পায় দল। তারপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙেছে ব্যাটিং লাইনআপ। দুইশো'র স্বপ্ন দেখা দল গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। কেন এমন হচ্ছে বারবার? বিশ্বকাপের আগে এসব ভালো কোন ইঙ্গিত দেয়?
সৌম্য সরকার বলেন, 'বিশ্বকাপের আগে আমাদের আরও ম্যাচ আছে। আমেরিকাতেও ৩টি ম্যাচ খেলবো। টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছে। প্রতিপক্ষ ভেবেই হয়তো ব্যাটিং লাইন আপ সেট করা হবে।'
ফিল্ডিংটাও হয়ে উঠছে দুঃশ্চিন্তার কারণ। প্রতি ম্যাচে বেশ কয়েকটি করে ক্যাচ ছাড়ছেন ফিল্ডাররা। বড় ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে এ ভুলগুলোই।
সৌম্য আরও বলেন, 'ক্যাচ মিস হতেই পারে। এটা কোন বিষয় না। তবে গ্রাউন্ড ফিল্ডিং সবাই করছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটাতে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ ছিল শান্ত বাহিনীর। সুযোগ ছিল নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে ছন্দে ফেরার। জিতলেও ৪ ম্যাচে সেই ছাপ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে নির্ভুল ক্রিকেটটা খেলতে পারবে তো বাংলাদেশ?