ক্রিকেট
এখন মাঠে
'চলতি সিরিজে স্পোর্টিং উইকেট হলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে কাজে লাগতো'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেললেও ক্রিকেটারদের ভাবনাজুড়ে কেবলই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলতে নামার আগে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এ সিরিজে স্পোর্টিং উইকেট পেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে সহায়তা হতো বলে মনে করেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটা উভয় সংকটে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে না পারা দলটির বিপক্ষে খেলার মাধ্যমে বিশ্ব আসরের আদর্শ প্রস্তুতি সম্ভব কী না, এমন প্রশ্ন উঠছে। আবার এদের বিপক্ষে জেতার জন্য সংগ্রামও করতে হচ্ছে। জিতলেও প্রশ্ন, ফেইক কনফিডেন্স তৈরি হচ্ছে কী না! চতুর্মুখী সমালোচনায় বিপদের মুখে ক্রিকেটাররা।

তাসকিন বলেন, 'ছোট দলের সাথে জিতলে আমরা প্রশংসা কম পাই। আবার হারলেও সমালোচনা বেশি হয়। আমাদের অনেক রকম কথাই শুনতে হয়। তবুও মাঠে ভালো খেলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি।'

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও টপঅর্ডার প্রতি ম্যাচে হাঁসফাঁস করছে। লিটন-শান্তদের ব্যাটে রানের খরা। বোলাররা শুরুতে ব্রেকথ্রু এনে দিলেও ছন্দ ধরে রাখতে পারছেন না পুরো ম্যাচজুড়ে। সবমিলিয়ে এরইমধ্যে সিরিজ জিতলেও প্রশংসা কুড়োতে পারছে না টাইগাররা। তাসকিন জানিয়ে গেলেন, সবাই চেষ্টা করছেন পারফরম্যান্সে উন্নতির।

তারকা পেসার বলেন, 'টি-টুয়েন্টি যেহেতু পাওয়ার ক্রিকেট, তাই কিভাবে রান আরেকটু বাড়াতে পারি। সেদিকে মনোযোগী হতে হবে। সেই সাথে ডেথ ওভারে বোলিং আরও ভালো করার চিন্তা করতে হবে। আমরা সবাই কিন্তু নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।'

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি না হলেও ঘরের মাঠে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে না পারার আফসোস থেকে যাচ্ছে তাসকিনদের।

তাসকিন আরও বলেন, 'আমরা এখনো জানি না যে আমেরিকার কন্ডিশন কেমন হবে। তাছাড়া আমাদের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ের সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা কম। ঐখানে নতুনভাবে শুরু করতে হবে।'

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ফিরছেন সাকিব-মুস্তাফিজ। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা সৌম্য সরকারকেও দেখা যেতে পারে একাদশে।

এভিএস