তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আশা করছে, এবার ভারতীয়রা আসবে তাদের দেশে। সে অনুযায়ী একটা খসড়া সূচিও নির্ধারণ করেছে তারা। তবে ভারতের আপত্তির কথা মাথায় রেখে এক ভেন্যুতেই সবগুলো ম্যাচ রাখার কথা ভাবছে পিসিবি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পাকিস্তানে কোনো ম্যাচ খেলেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই হতে পারে প্রায় অর্ধযুগ পর ভারতের পাকিস্তান সফর। ভারতের নিরাপত্তার জন্য এই টুর্নামেন্টের সূচিতে ভারতের সব খেলা এক শহরে হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে পিসিবি। প্রাথমিক সূচিতে ভারত তাদের সব ম্যাচ লাহোরে খেলবে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
লাহোর ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় ভারতীয় ভক্তদের জন্য সহজ হবে। এখানে ভারতের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা কঠোর হবে বলে এখানেই ভারতের সব ম্যাচ হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, পিসিবি টুর্নামেন্টের একটি খসড়া সূচি পাঠিয়েছে। যা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হতে পারে। অংশগ্রহণকারী আট দল নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হবে, যার প্রধান বিষয় হতে পারে ভারত দল সফর করবে কি না।
তিনি বলেন, '২০১৫ সালে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ভারত বাদে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাথে জড়িত প্রতিটি দলই পাকিস্তানে সফর করেছে এবং খেলেছে।'
এর আগে গত বছর পাকিস্তান এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল। তখন তারা একটি হাইব্রিড মডেল করতে বাধ্য হয়েছিল, যেখানে ভারত শ্রীলঙ্কায় তাদের সমস্ত ম্যাচ খেলেছে। সে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ফাইনাল ম্যাচটি কলম্বোতে অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও পাকিস্তান গেল বছর ভারতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য একটি হাইব্রিড মডেলের কথা জানিয়েছিল। তবে তা করা হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারত পাকিস্তান সফরে যাবে কি না সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নয়, বরং ভারত সরকারের হাতেই থাকবে বলে জানিয়েছে বোর্ড।
গেল (মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় করাচিতে পিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, টুর্নামেন্টের আট দলই পাকিস্তানে আসবে। যদিও এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান তিনি স্পস্টভাবে বলেননি।
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০০৮ সালে পাকিস্তানে এই আসর আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু সে সময়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়। ২০০৯ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর ছয় বছরে দেশটিতে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি।
২০১৫ সালে পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার পর থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সাথে জড়িত প্রতিটি দলই পাকিস্তানে সফর করেছে। যদিও এই তালিকায় নেই ভারত।
সবশেষ ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান।