একবার নয় দুবার নয় ছয়বার একদিনের আন্তর্জাতিকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন দলটির। এবার আরও একটি বিশ্বকাপে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ অজিদের সামনে। তবে এবার আর ৫০ ওভার নয় ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টির ঝড়ে পতিপক্ষকে কুপোকাত করতে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার।
আইসিসির যে কোনো ইভেন্টে সেরা পারফর্ম করতে প্রতিবারই শক্তিশালী দল গড়ে হলুদ জার্সিধারীরা। সেই পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা দেখিয়ে বড় তারকা হওয়া সত্ত্বেও বিশ্বকাপ দল থেকে ছেটে ফেলেছে স্টিভ স্মিথকে। ব্যাপারটা বেশ অবাকই করেছে সমর্থকদের।
দাপুটে পারফরম্যান্সের পরও কপাল খারাপই বলতে হবে জেইক ফ্রেজারের। বিগ ব্যাশে দারুণ ব্যাটিংয়ের করে সুযোগ মেলে আইপিএলে। তিন ফিফটিতে দুটিতে ১৫ বলে ফিফটি হাঁকান উঠতি এই তারকা ক্রিকেটার। তবে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা এই ব্যাটারকে বিশ্বকাপ দলেই ভাবনাতেই রাখেনি অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা।
যথারীতি মিচেল মার্শের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দলে আছেন শেষ বিশ্বকাপ খেলা অভিজ্ঞ ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তাকে সঙ্গ দিতে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ট্রাভিস হেডকে। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করতে আছেন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কসহ জশ হ্যাজেলউড। অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ক্যামেরুন গ্রিনের মতো তারকারা আছেন। বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যাস্টন আগার।
এদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দল কেমন হবে তা জল্পনা কল্পনার মধ্যে প্রকাশ করলো ইংল্যান্ড। এক বছরের বেশি সময় ধরে কুনুইয়ের চোটে ভুগতে থাকা জফ্রা আর্চারকে রাখা হয়েছে ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। এতে করে দারুণ শক্তিশালী হয়েছে ইংলিশদের পেস ইউনিট। জস বাটলারের নেতৃত্বে দলে সুযোগ পেয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাহাতি স্পিনার টম হার্টলি।
এছাড়া ঘোষিত দলে আছেন আইপিএল মাতানো উইল জ্যাক, জনি বেয়ারস্টোর জশ বাটলারদের মতো টপ অর্ডার ব্যাটার। মঈন আলী, আদিল রশিদদের সঙ্গে লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারানরা সুযোগ পাবেন নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর। তবে ২০২২ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্কোয়োডের ৯ ক্রিকেটারকে থাকলেও বেশ অবাক করেছে টি-টোয়েন্টিতে ক'মাস র্যাংকিংয়ে সেরা ব্যাটার ডেভিড মালান আর অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস।