বিতর্ক-সমালোচনা কিংবা অপেশাদারিত্ব, এর সবকিছুই এক সুতোয় গাঁথা পাকিস্তান ক্রিকেটের নামের সঙ্গে। হোক সেটা মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে। সম্প্রতি বাবর আজম ও শাহিন শাহ কাণ্ডে আবারো প্রমাণিত হলো।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর একরকম তড়িঘড়ি করেই সব ধরনের ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় বাবরকে। এরপর টেস্টে শান মাসুদ আর টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব দেয়া হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। মাত্র একটা সিরিজে অধিনায়কত্ব করেন আফ্রিদি। যেখানে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ এ নিউজিল্যান্ডের সাথে হারে তার দল। যদিও সেই সিরিজে বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার।
এরপর আফ্রিদির সাথে কোন রকম আলোচনা ছাড়াই তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় পিসিবি। আর এই দায়িত্বে আবারো ফেরানো হয় বাবরকে। আর এর সবকিছুর পেছনেই ছিলেন পিসিবি নতুন সভাপতি মহসিন নাকভি।
দেশটির ক্রিকেটের ঐতিহ্যই এমন, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে পরিবর্তন এলেই পরিবর্তন আসে জাতীয় দলের অধিনায়কত্বে। বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম কাজই যেন অধিনায়ক পরিবর্তন করা। এই যেমন সেলিম মালিক, রমিজ রাজা-আমির সোহেলরা দায়িত্ব পেয়েই পরিবর্তন এনেছেন অধিনায়কত্বে। নিজেদের পছন্দ মতো দলে এমন পরিবর্তনের ফলে এর প্রভাব পড়ে দলটির মাঠের খেলায়ও।
মহসিন নাকভির এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররাও। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যাম্পে যান পিসিবি সভাপতি। দেখা করেন শাহিন-বাবরদের সাথে। যদিও অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও এ নিয়ে কোন আক্ষেপ নেই সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়কের।