নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বসেরা হওয়া ইংলিশদের ম্যাচটা ছিল নানান সিদ্ধান্তে ভরপুর। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অন ফিল্ড দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আর মারাই এরাসমাস। উত্তেজনার বারুদে ঠাসা ম্যাচটিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত ছিল বিতর্কিত। যার অধিকাংশই রানারআপ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যায়।
কিন্তু বিশ্বকাপ শেষ হবার এতোদিন পর সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে যদি খোদ ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়ারই ভুল আর অনুশোচনায় ভোগে তাহলেতো কিউইদের জন্য কষ্টটা আরও বেড়ে যাবারই কথা।
মাত্রই ১৪ বছরের ঝলমলে আইসিসি এলিট আম্পায়ারের ক্যারিয়ারকে ইতি জানিয়েছেন ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনা করা এরাসমাস। তারপরই তার অনুশোচনার কথা জানিয়েছেন এক গণমাধ্যমকে। নিশ্চয় সবারই মনে আছে বেন স্টোকস যখন দুই রান নিতে নন স্ট্রাইকের দিকে দৌঁড়ে আসছিলেন তখন থ্রো করা বল তার ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি হয়। দুই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ইংলিশদের স্কোর বোর্ডে ৬ রান যুক্ত হয়। কিন্তু আসলে রান যুক্ত হওয়ার কথা ছিল ৫।
ফাইনাল ম্যাচের পরদিন নাস্তার টেবিলে নিজেদের এমন ভুল নিয়ে আলোচনা করেন দুই আম্পায়ার। কারণ গাপটিল যখন থ্রো করেন, ক্রিজে থাকা স্টোকস ও আদিল রশিদ সে মুহূর্তে ২ রান নেওয়ার পথে একে অন্যকে অতিক্রম করেননি। তাই সেই সেখানে রান যুক্ত হওয়া কথা ছিল ৫। যা নিয়ে এখনো আক্ষেপ কাজ করে এরাসমাসের।
তবে এরাসমাসের এই সিদ্ধান্তের থেকেও বড় আক্ষেপ নাকি রস টেইলরের এলবিডাব্লিউ সিদ্ধান্তে। কারণ পরে রিপ্লেতে দেখা যায় সেই বলটি উইকেটে লাগেইনি। কিন্তু রিভিউ না থাকায় কিউইদের কিছু করার ছিল না। পুরো টুর্নামেন্টে এরাসমাসের এই একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল যা ম্যাচে বড় প্রভাব ফেলেছিল।