তবে এবার সে অংকটা বাড়ানোর দাবি করেছে কাউন্টিগুলো। স্বাভাবিকভাবেই কেউ জাতীয় দলে ডাক পেলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ততায় ঘরোয়া ক্রিকেটে আর খেলার সুযোগ হয়ে ওঠে না তার। ফলে তার পরিবর্তে ক্লাবে নিতে হয় অন্য একজন ক্রিকেটারকে। সেজন্যে দলগুলো পায় অর্থ। তবে সে অংকটা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে দলগুলো। তারা বলছে, যে অর্থ তাদেরকে দেয়া হয় সেটি দিয়ে আরেকজন ক্রিকেটার দলে ভেড়ানো যায়। কিন্তু ক্লাবের জন্য বাড়তি কোন পুরস্কার থাকে না। যেটি হতাশাজনক।
আবার যারা কয়েকটি দলের হয়ে খেলেছেন তাদেরকে নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ইংল্যান্ডের বর্তমান অধিনায়ক জশ বাটলারের কথা। কাউন্টিতে তিনি খেলেছেন সমারসেট ও ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে। কিন্তু সমারসেট পাচ্ছে বেশি অর্থ। কারণ বাটলারের ক্যারিয়ারে বড় অবদানটা তাদেরই। কিন্তু এক্ষেত্রে ল্যাঙ্কাশায়ারের আবদারটা থেকেই যায়। অনেক সময় এ অর্থ নিয়েই কাউন্টি দলগুলোর মধ্যে বাঁধে বিপত্তিও।
আবার প্রথম শ্রেণীর কাউন্টি দলগুলো অর্থ পেলেও, প্রচলিত নিয়মে অর্থ বরাদ্দ নেই মাইনর কাউন্টি দলগুলোর জন্য। অথচ অনেকের ক্যারিয়ারে বড় অবদান থাকে ছোট দল বা একাডেমিগুলোর। ফলে মাইনর কাউন্টিগুলোও অর্থ পুরস্কার প্রাপ্য বলে মনে করেন দেশটির ক্লাব কর্তারা।
সবশেষ ২০২২ সালে হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের প্রতিবেদন পর্যালোচনার সময় ইসিবির সাবেক ক্রিকেট কমিটির পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রস বলেছিলেন, কাউন্টি দলগুলোকে পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা না দিলে জাতীয় দলের পাইপলাইনে ক্রিকেটার কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।
তবে স্ট্রসের এমন মন্তব্যের পরও অর্থ সহায়তা বাড়ায়নি ইসিবি। ক্লাবগুলোর দাবির মুখে এবার কি পদক্ষেপ নেয় বোর্ডটি সেটিই এখন দেখার বিষয়।