ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

খেলাধুলার উন্নয়নে পরিকল্পিত বিনিয়োগ প্রয়োজন

'অবকাঠামো নির্মাণে বাড়াতে হবে বাজেট'

সম্প্রতি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় কিংবা মেয়েদের ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আনন্দে মাতা। ঠিক একইভাবে ফুটবলে মেয়েদের সাফ জয় কিংবা ছেলেদের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে খেলা। এই সবকিছুইতো প্রমাণ করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের এগিয়ে যাওয়া।

একটি জাতির পূর্ণাঙ্গ মেধার বিকাশ তখনই হবে যখন খেলাধুলাকেও সমাজের অন্যান্য সবকিছুর সাথে সমান গুরুত্ব দেয়া হবে। তবে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও প্রায় ১৭ কোটি জনগণের দেশে ক্রীড়াঙ্গনে যতটুকু এগোনোর কথা ছিল ততটুকু কি পেরেছে?

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, স্বাধীনতার শুরু থেকে যদি তুলনা করি তাহলে ক্রীড়াঙ্গনে বিনিয়োগ বেড়েছে। সরকার খেলাধুলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে আমাদের জন্য বেশি প্রয়োজন হচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবে সফল হওয়া। এজন্য যেসব খেলায় আমাদের সম্ভাবনা আছে সেসব খেলায় আরও মনোযোগী হতে হবে।

দেশে খেলাধুলায় এখনও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব আছে। আর অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থের প্রয়োজন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২৫ কোটি টাকা কম।

সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে এই বাজেট দিয়ে তাল মেলানো কঠিন।’

ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট আয়োজন যেমন দরকার, তেমন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। এছাড়া ভবিষ্যতে বড় আসর আয়োজনের সক্ষমতা অর্জনে এখনই পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের কথা বলছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা।

নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমাদেরকে খুব ভালো মানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। তাহলে একজন খেলোয়াড় নিজেকে মূল্যায়ন করতে পারবেন এবং আমরা যারা আছি তারাও মূল্যায়ন করতে পারবো। এছাড়া কোচিং ও কোচের উন্নয়নে বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, আমাদের জনপ্রিয় খেলাগুলোর জন্য অনেক বেশি অবকাঠামো প্রয়োজন। খেলার মাঠের পাশাপাশি আমাদের খেলোয়াড়দের ইনডোর সুবিধা বাড়াতে হবে।

আর এতোকিছুর পরও যদি দক্ষ সংগঠন না থাকে তাহলে নেতৃত্বের অভাবে দিকভ্রান্ত থেকে যাবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন।