এখন মাঠে
0

বাবার অনুপ্রেরণায় এতদূর আসতে পেরেছি: আফিদা খন্দকার

মেয়েদের ফুটবলের শুরুটা সবার জন্য সুখকর হয়না। তবে জাতীয় দলের ডিফেন্ডার আফিদা খন্দকারের গল্পটা ব্যতিক্রম। ফুটবলের হাতেখড়ি হয়েছে বাবার হাত ধরেই। বাবাই গুরু, বাবার কাছেই পান অনুপ্রেরণা।

পরিবারই সন্তানের প্রথম পাঠশালা। আর সেই পাঠশালার শিক্ষক বাবা-মা। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ডিফেন্ডার আফিদা খন্দকারের ফুটবলের হাতেখড়ি বাবার কাছেই।

বাংলাদেশ নারী দলের ডিফেন্ডার আফিদা খন্দকার বলেন, ‘যে মাঠ থেকে আমি উঠে এসেছি সে মাঠেই আমি নিয়মিত প্র্যাকটিস করি। বাড়িতে গেলে বাবা আমাকে এক দিনের জন্যও রেস্ট দেন না, বলেন আজকে প্র্যাকটিস করা লাগবে না শুধু একবার মাঠ থেকে ঘুরে আসো। দরকার হলে পরের দিন শুরু প্র্যাকটিস করো। মূলত আজ বাবার জন্যই আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমার বাবাই আমার ফুটবল খেলা শিখিয়েছে, আমরা দুই বোন ফুটবল খেলতাম কিন্তু আমার বড় বোন এখন বক্সিং করে আর আমি এখনো ফুটবলের সঙ্গে আছি’

আফিদার সতীর্থদের মধ্যে ঋতুপর্ণা-সাবিনা খাতুনরা ইতোমধ্যেই ডাক পেয়েছেন ইউরোপে খেলার ডাক। সেই স্বপ্নটা আফিদারও আছে তবে তিনি ধীরে সুস্থেই আগাতে চান।

আফিদা বলেন, ‘অবশ্যই ইচ্ছে আছে ইউরোপে খেলার তবে আমরা তো কেবল উঠা শুরু করলাম। আমাদের আরো ভালো খেলতে হবে তারপর নাহয় এগুলো নিয়ে ভাবা যাবে’

বাংলাদেশে যেকোনো মেয়েদের ফুটবল শুরুর যাত্রাটা সাধারণত সুখকর হয়না। তবে আফিদার গল্পটা ভিন্ন।। সূচনালগ্ন থেকেই সমর্থন পেয়ে আসছেন পরিবারের।। টানা দুইবার বীরাঙ্গনাদের এমন সাফল্যের পর নিশ্চয়ই নতুনদের জন্য ফুটবলে আসার পথটা আরো মসৃণ ও সুন্দর হবে।

এএম