বরিশাল নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায় বাসিন্দা শহীদ আকন। পরিবারের ৩ সদস্যের জন্য ২ বেডরুমের একটি বাসায় ভাড়া নিয়েছেন। ২০১৮ সালে ৫ হাজার টাকায় দিয়ে বাসা ভাড়া নিলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার টাকায়। তাই বাধ্য হয়েই বাসা পরিবর্তন করছেন এই বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘যেখানে দুই টাহা কম পাব সেখানেই আমাদের থাকা লাগবে। প্রতি বছরই এরকম জায়গা পরিবর্তন করা লাগে।’
এ চিত্র বরিশাল নগরীর বেশিরভাগ ভাড়াটিয়ার। মাসের শুরুতেই দেখা যায় বাসা পরিবর্তনের চিত্র। আগে যে বাসা মিলতো ৬ থেকে ১০ হাজার টাকায় সেই একই বাসা এখন ভাড়া নিতে গুনতে হচ্ছে অন্তত ৯ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
আরেক ব্যক্তি জানান, প্রতিবছরই ভাড়া কিছু না কিছু বাড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের পক্ষে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকতে কষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে, বাড়ির মালিকরা বলছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, গৃহঋণের সুদ, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ প্রতি বছরেই বাড়ছে। বাড়িভাড়ার সঙ্গে পরিষেবার খরচও যুক্ত থাকে।
এক বাড়িওয়ালা বলেন, ‘ভাড়াটিয়ারা যে অভিযোগ দিচ্ছে, দিন দিন তো বাজারের খরচ বাড়ছে। আমরা কোথায় যাব, আমাদের দিক তো দেখতে হবে। এ হিসেব করে আমাদের প্রতি বছর কিছু বাড়াতে হয়।’
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, ১৯৯১ সালের একটি আইন প্রচলিত থাকলেও নিয়ন্ত্রণে নেই জনবল আর অফিস। এ কারণে তদারকিও করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দিয়ে দায়িত্ব দিলে আইনের সঠিক প্রয়োগ সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল বারী বলেন, ‘বাসা ভাড়া বৃদ্ধি একটা বিষয়। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন আছে। সরকার চাইলেও নির্দিষ্ট এরিয়াতে একজন নিয়ন্ত্রক, উপ-নিয়ন্ত্রক নিয়োগ করতে পারবে। এবং আইন অনুযায়ী তাদের যে ক্ষমতা দেয়া আছে সে অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় তা প্রয়োগ করতে পারবে। সিটি করপোরেশনে এ ধরনের নিয়োগ নাই দেখে আমরা এ ধরনের কাজ করতে পারছি না।’
বরিশাল মহানগরীতে ৫ বছর আগে প্রায় ৫৩ হাজার হোল্ডিং থাকলেও বর্তমানে তা বেঁড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৭ হাজারে।