মুনাফিক কারা, এদের স্বভাব সম্পর্কে কোরআনে যা বলা হয়েছে

মুনাফিক কারা? পবিত্র কোরআনের আলোকে মুনাফিকদের চেনার উপায় ও বৈশিষ্ট্য
মুনাফিক কারা? পবিত্র কোরআনের আলোকে মুনাফিকদের চেনার উপায় ও বৈশিষ্ট্য | ছবি: এখন টিভি
0

ইসলামি জীবনবিধানে ‘মুনাফিক’ (Hypocrites) শব্দটি অত্যন্ত ঘৃণিত। মুনাফিকরা হলো সেই সব ব্যক্তি যারা মুখে ইসলামের কথা বলে কিন্তু অন্তরে কুফরি বা অবাধ্যতা লালন করে। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সুরায় মুনাফিকদের চরিত্র (Characteristics of Hypocrites) এবং তাদের পরিণাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

মুনাফিক কারা? (Definition of Munafiq)

সহজ কথায়, যাদের ভেতরে এক আর বাইরে আরেক তারাই মুনাফিক। তারা মুসলিমদের সামনে নিজেদের বিশ্বাসী দাবি করে, কিন্তু অবিশ্বাসী বা কাফেরদের সাথে মিলিত হলে ইসলামের বিরোধিতা করে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে" (সুরা নিসা: ১৪৫)।

আরও পড়ুন:

মুনাফেকী কত প্রকার? (Types of Hypocrisy)

ইসলামি গবেষকদের মতে, মুনাফেকী মূলত দুই প্রকার: বিশ্বাসগত মুনাফেকী ও আমলগত বা কার্যগত মুনাফেকী।

১. বিশ্বাসগত মুনাফেকী (Hypocrisy in Belief/Nifaq al-Akbar):,

এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক। এর ৬টি লক্ষণের যেকোনো একটি কারো মধ্যে থাকলে সে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে (Lowest level of Hell) নিক্ষিপ্ত হবে:

  • রাসূল (সা.)-কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা।
  • রাসূল (সা.) যা নিয়ে এসেছেন তার কোনো অংশকে মিথ্যা বলা।
  • রাসূল (সা.)-কে ঘৃণা বা অপছন্দ করা।
  • ইসলামের বিধানের কোনো অংশকে অপছন্দ করা।
  • ইসলামের অবনতিতে খুশি হওয়া।
  • ইসলামের জয়ে বা বিজয়ে অসন্তুষ্ট হওয়া।

২. আমলগত বা কার্যগত মুনাফেকী (Hypocrisy in Action/Nifaq al-Asghar):

হাদিসের আলোকে কার্যগত মুনাফেকী ৫টি চিহ্নের মাধ্যমে চেনা যায়:

  • কথা বললে মিথ্যা বলা (Lies while speaking)।
  • ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করা (Breaks promises)।
  • আমানত রাখলে তাতে খিয়ানত করা (Betrays trust)।
  • ঝগড়া করলে অকথ্য গালি দেওয়া (Abuses during quarrels)।
  • চুক্তি করলে তা ভঙ্গ করা (Breaks contracts)।

যদিও আমলগত নিফাক মানুষকে তাৎক্ষণিক কাফের করে দেয় না, তবে এটি ধীরে ধীরে ইমানকে ধ্বংস করে বিশ্বাসগত মুনাফেকীর দিকে নিয়ে যায়। তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত এসব বৈশিষ্ট্য থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।

আরও পড়ুন:

কোরআনে বর্ণিত মুনাফিকদের প্রধান স্বভাবসমূহ (Traits in Quran)

১. মিথ্যা বলা (Lying): তারা কথায় কথায় মিথ্যা বলে। তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে বিশ্বাস করে বলে মিথ্যা শপথ করে।

২. প্রতারণা করা (Deception): তারা আল্লাহ ও মুমিনদের সাথে প্রতারণা করার চেষ্টা করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা নিজেদেরই প্রতারিত করে।

৩. ইবাদতে অলসতা (Laziness in Worship): তারা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন অত্যন্ত অলসভাবে দাঁড়ায় এবং কেবল লোক দেখানোর (Showing off) জন্য ইবাদত করে।

৪. দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকা (Indecisiveness): তারা না মুমিনদের দলে থাকে, না কাফেরদের দলে। তারা সবসময় দোদুল্যমান অবস্থায় থাকে।

৫. ফ্যাসাদ সৃষ্টি করা (Mischief Making): তারা পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের কথা বললেও গোপনে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

মুনাফিকের ৩টি প্রধান চিহ্ন (Signs of a Hypocrite)

হাদিসে রাসুল (সা.) মুনাফিকদের তিনটি মৌলিক লক্ষণের কথা বলেছেন:

  • কথা বললে মিথ্যা বলে (Lies when speaking)।
  • ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে (Breaks promises)।
  • আমানত রাখলে তাতে খেয়ানত করে (Betrays trust)।

আরও পড়ুন:

পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ৮ ও ৯ নম্বর আয়াতে মুনাফিকদের পরিচয় অত্যন্ত স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

আয়াত ৮: আরবি- وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللَّهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ

বাংলা উচ্চারণ: ওয়া মিনান-না-ছি মাই ইয়াকু-লু আ-মান্না- বিল্লা-হি ওয়া বিল ইয়াওমিল আ-খি-রি ওয়ামা- হুম বিমু’মিনী-ন।

বাংলা অর্থ: আর মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা বলে, ‘আমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি’, অথচ তারা মুমিন নয়।

আয়াত ৯: আরবি- يُخَادِعُونَ اللَّهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنْفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ইউখা-দিউ’নাল্লা-হা ওয়াল্লাযী-না আ-মানু-, ওয়ামা- ইয়াখদাউ’না ইল্লা- আনফুছাহুম ওয়ামা- ইয়াশউ’রুন।

বাংলা অর্থ: তারা আল্লাহ ও ঈমানদারগণকে ধোঁকা দিতে চায়, অথচ তারা কেবল নিজেদেরকেই ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা তা উপলব্ধি করতে পারে না।

আরও পড়ুন:

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘মানুষের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা বলে, ‘‘আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাতের দিনের প্রতি ঈমান এনেছি’’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা মুমিন নয়। তারা আল্লাহ ও মুমিনদের প্রতারিত করে, আসলে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রতারিত করে না, কিন্তু এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৮-৯)

কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, মুনাফিকরা আত্মপ্রবঞ্চনায় (Self-deception) ভোগে। তারা মনে করে তাদের কপটতা কেউ বুঝছে না, অথচ আল্লাহ সব ধোঁকাবাজির ঊর্ধ্বে। তাদের এই ধোঁকার চূড়ান্ত পরিণতি দুনিয়া ও আখেরাতে অত্যন্ত ভয়াবহ।

পবিত্র কোরআনের ৬৩ নম্বর সুরা হলো ‘সুরা আল-মুনাফিকুন’ (Surah Al-Munafiqun)। এই সুরায় আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের চক্রান্ত, মিথ্যা শপথ এবং তাদের অন্তরের সংকীর্ণতা সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করেছেন। নিচে সুরাটির নির্বাচিত আয়াতের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেয়া হলো:

সুরা আল-মুনাফিকুন (নির্বাচিত আয়াতের অনুবাদ)

আয়াত ১: আরবি- إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّكَ لَرَسُولُهُ وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَكَاذِبُونَ

বাংলা উচ্চারণ: ইযা জা-আকাল মুনা-ফিকূনা ক্ব-লূ নাশহাদু ইন্নাকা লারাসূলুল্লা-হ; ওয়াল্লা-হু ইয়া’লামু ইন্নাকা লারাসূলুহূ ওয়াল্লা-হু ইয়াশহাদু ইন্নাল মুনা-ফিক্বীনা লাকা-যিবূন।

বাংলা অর্থ: (হে নবী!) মুনাফিকরা যখন আপনার কাছে আসে, তখন তারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল’। আল্লাহ জানেন যে আপনি নিশ্চয়ই তাঁর রাসূল, আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।

আয়াত ৪: আরবি- وَإِذَا رَأَيْتَهُمْ تُعْجِبُكَ أَجْسَامُهُمْ ۖ وَإِن يَقُولُوا تَسْمَعْ لِقَوْلِهِمْ ۖ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ

বাংলা উচ্চারণ: ওয়া ইযা রাআইতাহুম তু’জিবুকা আজসা-মুহুম; ওয়া ইঁইয়াক্বূলূ তাসমা’ লিক্বাওলিহিম; কাআন্নাহুম খুশুবুম মুসান্নাদাহ।

বাংলা অর্থ: যখন আপনি তাদের দিকে তাকান, তখন তাদের দেহাকৃতি আপনার কাছে চমৎকার মনে হয়। আর যদি তারা কথা বলে, তবে আপনি তাদের কথা তন্ময় হয়ে শোনেন; অথচ তারা (প্রাণহীন) দেয়ালে ঠেকানো কাঠের খুঁটি সদৃশ।

আরও পড়ুন:

অন্তর ব্যাধি ও মুনাফেকী (Heart Diseases)

মুনাফিকরা মূলত সত্য গ্রহণে অক্ষম এবং তাদের অন্তর রোগাক্রান্ত (Diseased Heart)। বিশিষ্ট সুফি হজরত জুনায়েদ বাগদাদী (রহ.) বলেন, প্রবৃত্তি অনুসরণের ফলে মানুষের অন্তরে রোগ সৃষ্টি হয়। এই রোগ মানুষকে স্বাভাবিক ইমানি অবস্থা থেকে বিচ্যুত করে ধ্বংস ও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

নিফাক বা মুনাফেকী দূর করার ইসলামি উপায় (Tips to Remove Hypocrisy)

নিজের ভেতর থেকে মুনাফেকীর (নিফাক) ক্ষুদ্রতম অংশও দূর করা একজন মুমিনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সাহাবায়ে কেরাম (রা.) সবসময় নিজেদের ভেতর নিফাক সৃষ্টি হওয়ার ভয়ে থাকতেন। নিচে পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিফাক দূর করার কার্যকরী উপায়গুলো আলোচনা করা হলো:

১. তওবা ও ইস্তিগফার (Repentance and Forgiveness): সবচেয়ে প্রথম কাজ হলো নিজের অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে লজ্জিত হওয়া এবং আন্তরিকভাবে তওবা করা। প্রতিদিন বেশি বেশি "আস্তাগফিরুল্লাহ" পাঠ করা অন্তরের ময়লা পরিষ্কার করে।

২. তাকবীরে উলার সাথে নামাজ (Prayer with First Takbir): হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি টানা ৪০ দিন জামাতের সাথে প্রথম তাকবীরের (তাকবীরে উলা) সাথে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে দুটি মুক্তি দেবেন—জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং নিফাক থেকে মুক্তি। (তিরমিজি: ২৪১)

আরও পড়ুন:

৩. সত্য বলার অভ্যাস করা (Practicing Truthfulness): মুনাফিকের প্রধান লক্ষণ হলো মিথ্যা বলা। তাই ছোট-বড় সব ক্ষেত্রে সত্য বলার কঠোর প্রতিজ্ঞা করতে হবে। এমনকি হাসি-ঠাট্টাতেও মিথ্যা পরিহার করা ইমানকে মজবুত করে।

৪. আমানত রক্ষা ও ওয়াদা পূরণ (Trustworthiness and Fulfilling Promises): কারো সাথে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করুন। কারো ধন-সম্পদ বা গোপন কথা আপনার কাছে থাকলে তা আমানত হিসেবে রক্ষা করুন। এই দুটি গুণ যার ভেতর থাকে, মুনাফেকী তার থেকে দূরে পালায়।

৫. গোপনে নফল ইবাদত ও দান (Secret Worship and Charity): মুনাফিকরা লোক দেখানোর (রিয়া) জন্য ইবাদত করে। তাই নিফাক দূর করতে গোপনে দান করুন এবং রাতের গভীরে নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ) পড়ুন, যা কেবল আল্লাহ আর আপনি জানবেন।

৬. বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা (Frequent Remembrance of Allah): সুরা নিসায় বলা হয়েছে, মুনাফিকরা আল্লাহকে খুব অল্পই স্মরণ করে। তাই জিকির, তাসবিহ এবং কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জিহ্বা ও অন্তরকে সবসময় সজীব রাখা নিফাক দূর করার মহৌষধ।

৭. মহানবীর (সা.) প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি (Love for the Prophet): রাসূল (সা.)-এর সুন্নাহকে অনুসরণ করা এবং তাঁর প্রতি মহব্বত রাখা অন্তরের নিফাক পুড়িয়ে দেয়। দরুদ পাঠ করা এক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক।

আরও পড়ুন:

হজরত হানজালা (রা.)-এর নিজেকে মুনাফিক মনে করার সেই বিখ্যাত ঘটনা

সাহাবায়ে কেরাম (রা.) তাদের ইমানের ব্যাপারে এতটাই যত্নশীল ছিলেন যে, হৃদয়ের সামান্য অস্থিরতাকেও তারা 'নিফাক' বা মুনাফেকী বলে ভয় পেতেন। এমনই এক বিখ্যাত ঘটনা ঘটেছিল বিশিষ্ট সাহাবী হজরত হানজালা (রা.)-এর জীবনে।

একদিন হজরত হানজালা (রা.) রাস্তা দিয়ে কাঁদছিলেন এবং বলছিলেন, "হানজালা মুনাফিক হয়ে গেছে! হানজালা মুনাফিক হয়ে গেছে!" পথে তার সাথে দেখা হলো হজরত আবু বকর (রা.)-এর। তিনি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "হানজালা, তুমি এসব কী বলছ?" হানজালা (রা.) উত্তর দিলেন, "হে আবু বকর! আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মজলিসে থাকি, তখন তিনি আমাদের সামনে জান্নাত ও জাহান্নামের কথা বলেন। তখন মনে হয় আমরা জান্নাত-জাহান্নাম নিজের চোখে দেখছি। আমাদের ইমান আকাশচুম্বী থাকে। কিন্তু যখন আমরা বাড়িতে ফিরে আসি, স্ত্রী-সন্তান ও ঘরসংসারের কাজে লিপ্ত হই, তখন আমরা সেই অবস্থার কথা অনেকটাই ভুলে যাই।"

হানজালা (রা.) ভাবলেন, মজলিসের সেই ইমানি অবস্থা আর ঘরে ফেরার পরের অবস্থার এই পার্থক্যের নামই হয়তো মুনাফেকী।

হজরত আবু বকর (রা.) বললেন, "সত্যিই তো, এমনটা তো আমারও মনে হয়!" এরপর তারা দুজনে প্রিয় নবীজি (সা.)-এর কাছে গেলেন এবং বিষয়টি খুলে বললেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের কথা শুনে মুচকি হাসলেন এবং বললেন: "হে হানজালা! যার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম! তোমরা আমার কাছে থাকাকালীন তোমাদের যে অবস্থা থাকে, সেই অবস্থা যদি সবসময় স্থায়ী হতো, তবে ফেরেশতারা তোমাদের চলার পথে এবং তোমাদের বিছানায় এসে তোমাদের সাথে মুসাফাহা (করমর্দন) করত। কিন্তু হে হানজালা! সময় সবসময় একরকম থাকে না। কখনও ইমানি জজবা থাকে, আবার কখনও দুনিয়াবি ব্যস্ততা থাকে (সাআতান ওয়া সাআতান)।" (সহিহ মুসলিম: ২৭৫০)

আরও পড়ুন:

এসআর