প্রবারণা শেষে কাল থেকে রাঙামাটিতে মাসব্যাপী ‘কঠিন চীবর দানোৎসব’

অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীরা প্রার্থনা করছেন
অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীরা প্রার্থনা করছেন | ছবি: এখন টিভি
1

বাংলাদেশের প্রধান বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাঙামাটি রাজবন বিহারে দিনব্যাপী সর্বজনীন প্রবারণা উৎসব ‍অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। মূলত বৌদ্ধভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাসব্রত অধিষ্ঠান শেষে, অনুষ্ঠিত হয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’। প্রবারণার এ আনুষ্ঠানিকতা শেষে পাহাড়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।

আজ (সোমবার, ৬ অক্টোবর) রাঙামাটি রাজবন বিহারে দিনব্যাপী প্রবারণা উৎসবের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়, ভোরে বৌদ্ধভিক্ষুদের প্রাতরাশ দিয়ে। এরপর সকালে বুদ্ধপূজা, পিণ্ডদান, সংঘদান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, অষ্টপরিস্কার দান, হাজারবাতি দান, বুদ্ধমূর্তি দান, উৎসর্গ, সূত্রপাঠ শেষে ধর্মীয় দেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুপ্রধান ও বনভান্তের উত্তরসূরি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ধর্মীয় দেশনা দেন। এসময় তিনি সমবেত প্রার্থনায় দেশ, জাতি ও বিশ্ব মানবের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রবারণা উৎসব পালনের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:

এতে রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে। এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন।

এছাড়াও রাঙামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও রাজবন বিহারের শাখা বিহারগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী প্রবারণা উৎসবের সমাপ্তি হয়।

প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আষাঢ়ি পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ ভিক্ষুরা একটি নির্দিষ্ট বিহারে অবস্থান করে তিন মাস বর্ষাবাস শুরু করেন। প্রবারনা পুর্ণিমা তিথিতে এ বর্ষাবাস শেষ করেন। এরপর কঠিন চীবর দানের (ভিক্ষুদের গেরুয়া রংয়ের বস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠান) মাধ্যমে ধর্ম প্রচারে বেরিয়ে পড়েন।

এফএস