এসময় একাত্তরের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের জন্য দোয়া করেন। এরপর তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে রাত ১০টা ৪ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাস ও গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে। এ সময় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ছিলেন।
তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সাভার-আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এসে ভিড় করে। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এর আগে আজ বিকেল ৫টায় শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২৫ ডিসেম্বর দেশে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর আগে ২৪ ডিসেম্বর (বুধবার) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ কয়েকজন সফরসঙ্গী নিয়ে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারেক।
আরও পড়ুন:
বুধবার দিবাগত (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১৫ মিনিটে বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইট তারেক রহমান তার পরিবার ও সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ছাড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে অবতরণ করে বিমানটি। সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে থেকে ঢাকার পথে রওনা করে। এদিন বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে নেমেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখান থেকে বের হয়ে সরাসরি ৩০০ ফিট এলাকায় যান তারেক রহমান।
সকাল থেকেই রাজধানীর কুড়িল–বিশ্বরোডের ৩০০ ফিট এলাকায় দলবদ্ধভাবে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। সেখানে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তারেক রহমান সেখানে উপস্থিত হন।
৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা শেষে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তারেক রহমান। সেখান থেকে পরবর্তীতে রাজধানীর গুলশানে থাকা বাসভবন ফিরোজায় যান তিনি। এরপর আজ (শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর) জুম্মার নামাজের পর শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান।




