ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা তোমাদের জন্য আয়োজন করতে চাই, যে শিক্ষাব্যবস্থা তোমাদের মানুষের মতো মানুষ হতে সাহায্য করবে। যে শিক্ষাব্যবস্থা তোমাদের শিক্ষার চরম উৎকর্ষে পৌঁছে দেবে। এবং এ শিক্ষা নিয়ে, উন্নত চরিত্র নিয়ে, দক্ষ কারিগর হয়ে তোমরা সমাজগঠনে আত্মনিয়োগ করবে। আর একজন যুবক-যুবতিও বেকার থাকবে না।’
যুবকদের বেকারভাতা না দিয়ে প্রত্যেকের হাতে কাজ তুলে দিতে চান বলেও এসময় জানান জামায়াত আমির। বলেন, ‘অনেকে সংখ্যা গুনে বলছেন, আমি এত কোটি, এত লাখ যুবককে কর্মসংস্থান দেবো। বাকিদের কী হবে? বলছেন, বাকিদের ভাতা দেবেন। আমরা আমাদের যুবকরা কারও কাছ থেকে বেকারভাতা গ্রহণ করুক, দেখতে চাই না, শুনতেও চাই না। প্রতিটি যুবকের হাতকে দেশ গড়ার হাতে পরিণত করতে চাই। প্রত্যেকটি হাতে কাজ তুলে দিতে চাই। বেকারভাতা নয়, বেকারভাতার পরিবর্তে এরাই এ দেশে সব ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করবে। সেই বিপ্লবের বাণী তাদের মুখে পৌঁছে দিতে চাই, শক্তি তাদের বুকে তুলে দিতে চাই আর তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই। তোমরা তৈরি হও, ইনশা আল্লাহ তোমরা পারবা। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি।’
আরও পড়ুন:
বিভিন্ন ছাত্রসংসদে ছাত্রশিবিরের জয়ের বিষয়টি স্মরণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তোমাদের কাঁধে ১৮ কোটি মানুষের বোঝা। আল্লাহ তা’য়ালা এ বোঝা তোমাদের জন্য হালকা করে দিন। এ বোঝা বহন করা শক্তি তোমাদের দান করুন। তোমাদের এ বিজয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইঙ্গিত দিচ্ছে, আগামী দিনে ইনসাফের বিজয় হবে বাংলাদেশে ইনশা আল্লাহ। ছাত্রসমাজ তোমাদের ভোট দিয়েছে, তোমাদের ইনসাফের প্রতীক হিসেবে তারা দেখতে চায়। অন্য কোনো কারণ নেই।’
ইনসাফ কায়েম করার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী ‘ডেসপারেট’ বলেও জানান দলের এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে ইনসাফের বড় অভাব! আর সেই ইনসাফের ভিত্তি হচ্ছে আল্লাহর কোরআন। নবী (সা.)-এর সুন্নাহ। কোরআন-সুন্নাহ বাদ দিয়ে দুনিয়ার কোথাও ইনসাফ কায়েম হয়নি, হওয়ারও সম্ভাবনা নেই। এ ব্যাপারে আমরা খুবই ডেসপারেট।’
সবশেষে জামায়াত আমির বলেন, ‘আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী মানুষের জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একটি দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত ইনসাফভিত্তিক মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’





