মেজর হাফিজ বলেন, ‘সরকার অনৈতিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করেছে। প্রফেসর ইউনুসের কাজ না দেশে রাজনৈতিক দল বানানো। তিনি ইয়াং ছেলেদের দিয়ে দল বানিয়েছে। এখন আর পড়াশোনার পরিবেশ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। ছেলেরা পড়াশোনা করবে বাকি মন্ত্রীসভায় এসে দু’পয়সা কামানোর ধান্দায় থাকবে। এভাবেই ছাত্র সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে।’
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কেউই বানচাল করতে পারবে না। যারা একাত্তরে পরাজিত হয়েছে তারা এবারও পরাজিত হবে, জনগণ কখনই তাদেরকে মেনে নেবে না।’
দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মেজর হাফিজ তার নির্বাচনি এলাকায় প্রবেশ করলে তাকে নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এ সময় উপজেলার ডাওরী বাজার থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে দশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন।
মেজর হাফিজ বলেন, ‘জনগণ ১৭ বছর ধরে ভোট দেয়ার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে সেজন্য অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছি। গণভোটে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেয়া ভোটারের জন্য অনেক কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একইদিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন বলেছেন, এতে সরকারের বহু টাকা সাশ্রয় হবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘যারা মাফিয়া শেখা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করেছে তারা সংকট কালে একমত থাকলে আমরা ভারতের অধিপত্যে থেকে রেহাই পাবো। শেখ হাসিনা ভারত থেকে গুন্ডাবাহিনী পাঠিয়ে বাস পোড়াচ্ছে। গোপালগঞ্জের লোকদের দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ আর এই সব মেনে নিবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই সনদে গণভোটসহ অনেক কিছুই ছিল না, তারপরও সরকার আমাদের উপর জুলাই সনদ চাপিয়ে দিয়েছে। জনগণ জুলাই সনদ ও পিয়ার সম্পর্কে কিছু বোঝেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সরকার তারপরও জুলাই সনদে গণভোট রেখেছেন। এটি একটি ভুল পদক্ষেপ বলে তিনি মনে করছেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল সহ স্থানীয় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা।
