এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। অনেকে তার রাজনৈতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করলেও, কেউ কেউ কটু মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে আজ (শুক্রবার, ৭ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে মীর স্নিগ্ধ নিজের অবস্থান ও অনুভূতি স্পষ্ট করেন।
স্নিগ্ধ লেখেন, গত কয়েকদিন ধরে আমি আপনাদের অনেক কমেন্ট পড়ছি। সব কমেন্ট। বিশ্বাস করুন, একটাও বাদ দিইনি। অনেকে আমাকে ভালোবাসা দিয়েছেন প্রাণ উজাড় করে, পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাহস জুগিয়েছেন প্রতিনিয়ত—এই মানুষগুলোর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আবার অনেকেই ঝাড়ছেন রাগ। কেউ লিখছেন আমি ‘ভাইয়ের রক্ত বেচে খাচ্ছি’, কেউ বলছেন ‘অযোগ্য’, কেউ বলছেন ‘ক্ষমতার লোভী’। সত্যি বলি? আপনাদের এই কথাগুলো পড়ে আমার একটুও রাগ হয়নি। বরং অদ্ভুত একটা ভালোলাগা কাজ করেছে।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, আমি তো রাজনীতিবিদ হয়ে জন্মাইনি। কয়েক মাস আগেও আমি আপনাদের মতোই সাধারণ একটা ছেলে ছিলাম। কিন্তু জুলাইয়ের সেই দিনটা... সেই একটা গুলি আমাদের পুরো পরিবারের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। আপনারা যখন বলেন আমি ‘‘ভাইয়ের মরদেহের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছি’’, তখন বুকের ভেতরটা ভীষণ ভারী হয়ে যায়। মনে হয়, এর চেয়ে যদি ওই গুলিটা আমাকে লাগত, হয়তো ভালো হতো।’
রাজনীতিতে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি লিখেছেন, আমি রাজনীতিতে কেন এলাম? শখ থেকে? বিশ্বাস করুন, রাতের পর রাত ঘুমহীন কাটানোর পর, শত শত আহত ভাইদের আর্তনাদ শোনার পর, আমি বুঝেছি শুধু কান্না দিয়ে বিচার পাওয়া যায় না। বিচার পেতে হলে, এই সিস্টেমটাকে বদলাতে হলে, আমাকে সেই জায়গায় যেতে হবে যেখানে আইন তৈরি হয়।
তার স্ট্যাটাসের শেষ অংশে তিনি দৃঢ়ভাবে লেখেন, আমি থাকব। সব গালি সহ্য করে, সব অপমান মেনে নিয়ে—শেষ পর্যন্ত থাকব। কারণ আমি হেরে গেলে, আপনি হেরে গেলে, আমরা হেরে গেলে—হেরে যাবে মুগ্ধ, হেরে যাবে আবু সাঈদ, হেরে যাবে জুলাই।
শেষে স্নিগ্ধ আহ্বান জানান, সঙ্গে থাকবেন তো? দেখেন না একবার বিশ্বাস করে, পাশে দাঁড়িয়ে।





