স্থানীয় টাউন হল ময়দানে আজ বিকেলে এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন এড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম একজন ক্ষণজন্মা রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যিনি বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদ থেকে রক্ষা করতে আজীবন সংগ্রাম করেছেন।’
দেশে গণতন্ত্রকে পূর্ণরূপ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দয়া করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবেন না। অবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন, না হলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঐক্যমত কমিশনে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন। স্বাক্ষর করার পরে নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত করার অশুভ চিন্তা কোনো ভালো কিছু বয়ে আনবে না।’
আরও পড়ুন:
দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কোনো পরিণাম শুভ হবে না। বিএনপি কোনো ষড়যন্ত্র চক্রান্তের কাছে আপোষ করবে না।’
নির্বাচনের আগে কোনো গণভোট নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা হলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’ এসময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করার আহ্বানও জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রকে আর হরণ করবেন না, জনগণের অধিকারকে নষ্ট করবেন না। বিএনপি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিশ্বাসী। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং কিছু সংখ্যক রাজনৈতিকদল যারা অসৎ উদ্দেশে একটি গোলযোগ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে তাদেরকে জনগণ ক্ষমা করবে না।’
মজলুম নেতা তরিকুল ইসলামের জীবন সম্পর্কিত একটি বই প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম মানুষের হৃদয় ছুঁতে পেরেছেন। যিনি দেশকে ভালোবেসে এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তার সেই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
স্মরণসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ দলের কেন্দ্রীয় স্থানীয় বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভায় দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মাও. আমানুল্লাহ কাসেমী।





